ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে সুন্দরবনধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অব্যাহত রাখা, দায়মুক্তি আইন ব্যবহার করে অস্বচ্ছতার সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতে রিলায়েন্স ও আদানির বিনিয়োগ অনুমোদন এবং ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমোদন বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গ্রিন রোডের জাহানারা গার্ডেনে কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ`র সভাপতিত্বে তার নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।সভায় আগামী ১৪ জুন মাগুড়ছড়া দিবসে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল এবং মাগুড়ছড়া ও টেংরাটিলা ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী শেভরন ও নাইকোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়সহ সাত দফা দাবিতে দেশব্যাপি বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ঢাকায় ওইদিন বিকাল ৪টায় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।সভায় বলা হয়, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দেশের ভিতরে প্রবল জনমত উপেক্ষা করে দু`দেশের সরকার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকল বিধি মেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কথা বলেছেন অথচ ভারতের আইনে প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা যায় না।ভারতের প্রচলিত আইন ও আন্তর্জাতিক সকল বিধিবিধান অমান্য করে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করার এই প্রকল্পকাজ চলছে। সভায় অবিলম্বে এই প্রকল্প বাতিলের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। নাহলে দু’দেশের জনগণের যৌথ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নুর মোহাম্মদ, প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, রুহিন হোসেন প্রিন্স, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, অ্যাড. আবদুস সালাম, মোশারফ হোসেন নান্নু, মোশরেফা মিশু, আজিজুর রহমান, খালেকুজ্জামান লিপন, ফখরুদ্দীন কবির আতিক, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, সুবল সরকার, মিজানুর রহমান, কিশোর রায়, মাসুদ খান, শহীদুল ইসলাম সবুজ, প্রমুখ।বিএ/আরআই
Advertisement