চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি বেশ ভালোভাবেই সামলাচ্ছিলেন মুশফিক ও নাসির হোসেন। তবে দিনের অষ্টম ওভারে ন্যাথান লিওনের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন টেস্ট দলপতি। মুশফিকের আউটের পর দারুণ খেলছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু অর্ধশতক থেকে পাঁচ রান দূরে থাকতে ফিরে যান তিনি। এরপর মিরাজ-তাইজুলরা লড়াই করা চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ৩০৫ রানে।
Advertisement
স্পিনের স্বর্গভূমি হওয়ার কথা ছিল চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট। শেষ পর্যন্ত তাই প্রমাণ করলেন অসি স্পিনাররা। ১০ উইকেটের ৯টিই নিয়েছেন দুই স্পিনার। তার মধ্যে রেকর্ড গড়ে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন নাথান লিওন। অপর উইকেট দুইটি পেয়েছেন অ্যাস্টন অ্যাগার। আর মিরাজকে ওয়ার্নার রান আউট করেছেন।
স্পিন সহায়ক উইকেট হলেও, বাংলাদেশের সাব্বির আর মুশফিক দেখা পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির। সাব্বির ১৩৬ বল খেলে করেছেন ৬৬ রান ও মুশফিকুর রহিম ২৫২ বলে খেলে করেছেন ৬৮ রান। হাফ সেঞ্চুরি না পেলেও দলের পুঁজিতে অবদান রেখেছেন সৌম্য, মুমিনুল ও নাসির। তারা যথাক্রমে করেছেন ৩৩, ৩১ ও ৪৫ রান।
তবে প্রথমে টেস্টে অসাধারণ ব্যাট করা তামিম ইকবাল এ ম্যাচে ছিলেন ব্যর্থ। ৯ রান করেই তাকে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে। সাকিব আল হাসান লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও ২৪ রানে তিনিও সাজঘরে ফেরেন।
Advertisement
এদিকে ঢাকা টেস্টে যেখানে শেষ করেছিলেন চট্টগ্রাম টেস্টে সেখান থেকেই শুরু করলেন লিওন। শুরু থেকেই বিধ্বংসী বল করছিলেন। তুলে নিয়েছেন একে একে টপঅর্ডারের চারজন ব্যাটসম্যানের উইকেট। যাদের সবাইকে তিনি ফেললেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। একই সঙ্গে গড়েছেন এক অনন্য কীর্তি। যা এর আগে আর কোনো বোলারই গড়তে পারেননি।
রেকর্ড গড়া চার উইকেটসহ ৯৪ রান দিয়ে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই অফস্পিনার। অপর স্পিনার অ্যাগার ৫২ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। আর মিরাজকে রান আউট ফাঁদে ফেলেন ওয়ার্নার।
ঢাকা টেস্টের চেয়ে প্রথম ইনিংসে বেশ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। আর সেবারের মত যদি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারেন টাইগার স্পিনাররা তবে সাগরিকাতেও ভালো কিছু আশা করতেই পারে বাংলাদেশ।
এমএএন/এমআর/জেআইএম
Advertisement