মৃত্যুর হাতছানি থেকে বন্দীর নিগৃহীত জীবন। শরণার্থী শিবিরে প্রতীক্ষার পর দেশের মাটিতে পা পড়েছে। ২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে কিন্তু এখনো মিলেনি স্বজনদের মাঝে ফেরার অনুমতি। তার উপর চলছে অঝর ধারায় বর্ষণ। বাইরে তাকানোর সুযোগই পাচ্ছে না বিজিবির মাধ্যমে দেশে ফেরা অভিবাসন প্রত্যাশী ১৫০ বাংলাদেশি। কিন্তু সবাই উন্মুখ হয়ে আছে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পাবার। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের নানা প্রয়োজনীয় বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই করা হচ্ছে। মানবপাচারের শিকার হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা জানি তারা প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে উন্মুখ হয়ে আছেন। প্রত্যেকের জবানবন্দী ও আইনী প্রক্রিয়া শেষেই তাদেরকে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের কেউ কোন অপরাধে জড়িত ছিল কিনা নিজ নিজ এলাকার পুলিশ প্রশাসন দিয়ে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিবাসী হলেও অপরাধী প্রমাণ পেলে ছাড় দেয়া হবে না। উল্লেখ্য, ২১ মে মিয়ানমার উপকূলে ভাসমান অবস্থায় ১৫০ বাংলাদেশিসহ ২৮৪ জনকে উদ্ধার করেছিল সেদেশের নৌবাহিনী। সোমবার বাংলাদেশের উখিয়ার ঘুমধুম সীমান্তের পাশে মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া বিজিপি ক্যাম্পে বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৫০ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়। ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশির মাঝে কক্সবাজার জেলার ২৯, নরসিংদীর ৫৬, ঝিনাইদহের ১২, টাঙ্গাইলের ৩, চট্টগ্রামের ৮, চুয়াডাঙ্গার ৪, নারায়ণগঞ্জের ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬, বান্দরবানের ৯, কুমিল্লার ১, চাঁদপুরের ১, রাজবাড়ীর ২, যশোরের ২, পাবনার ৫, বাগেরহাটের ৪, হবিগঞ্জের ১ ও নাটোরের ১ জন রয়েছেন। এসব বাংলাদেশিদের সোমবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে তাদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তবে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের সাথে কোন সংবাদকর্মীকে কথা বলতে দেয়া হয়নি। সায়ীদ আলমগীর/এসএস/এমএস
Advertisement