ঈদ আনন্দের দ্বিতীয় দিন আজ। কোরবানির ঈদ হওয়ায় অনেকে প্রথম দিন বেড়াতে যেতে পারেননি। কিন্তু পরের দিন বিকেলে সপরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা আপনজনদের নিয়ে বের হয়েই বিপত্তিতে পড়েছেন। সারাদিন প্রখর রোদ থাকলেও বিকেলের আনন্দে বেরসিক বৃষ্টি হানা দেয়। এতে অনেকে ভিজে যান আর কেউ বা আটকা পড়েন।
Advertisement
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন নগরীর দৃষ্টিদন্দন স্থান হাতিরঝিলে বেড়াতে যাওয়া লোকজন। এছাড়া তিনশ ও একশ ফিটে নির্মল হাওয়া খাওয়ার ইচ্ছেয় যাওয়া লোকজন বাড়তি ‘উপহার’ হিসেবে পেয়েছেন বৃষ্টির ‘ছোঁয়া’। আর চিড়িয়াখানা ও শিশুপার্কে বেড়াতে যাওয়া শিশু-কিশোররাও বিড়ম্বনায় পড়ে।
সপরিবারে হাতিরঝিলে বেড়াতে গিয়েছিলেন মতিউর রহমান। সঙ্গে নিয়েছিলেন দুই ছেলেমেয়েকে। পথে বৃষ্টি শুরু হয়। আশেপাশে কোনো ছাউনি না থাকায় বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মহানগর প্রজেক্টের কাছে ফুটওভার ব্রিজের নিচে গিয়ে দাঁড়ান তারা। কিন্তু এরই মধ্যে ছোট্ট শিশুসহ সবাই ভিজে যান।
মতিউর রহমান জাগো নিউজকে জানান, হাতিরঝিলের মতো দর্শনীয় স্থানে কোনো ছাউনি নেই। তাই বেড়াতে আসা লোকদের কখনও প্রখর রোধে পুড়ে আর কখনও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়।
Advertisement
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন মহানগরের পাশেই নতুনবাজার হয়ে একশ ফিট ঘুরতে যাওয়া লোকজন। রাজধানীর পূর্বপাশ্বে বিস্তীর্ণ খোলা জায়গায় হাওয়া খাওয়ার জন্য এখন অনেকেই সেখানে যান। বেড়ানোর এই নতুন জায়গা আশেপাশের লোকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেখানে দর্শনার্থীর কম ছিল। যারা গেছেন তারা ভিজে জবজবে।
ঢাকা চিড়িয়াখানা ও শিশুপার্কের মতো জনপ্রিয় জায়গাতেও বিকেলে দর্শনার্থী কমে যায়। একটু পর বৃষ্টি থামলে মুখভার করা আকাশ দেখে অনেকে বাসা থেকে বের হননি।
সন্ধ্যায় জাগো নিউজের পক্ষ থেকে পরিচিত অনেকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়। কলাবাগানের বাসিন্দা মতিন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, বিকেলে পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা থাকলে বৃষ্টির কারণে বের হওয়া যায়নি।
নগরীর তিনশ ফিট এলাকায় মূলত ঘুরতে যাওয়া হয় গাড়ি নিয়ে। পূর্বাঞ্চল যাওয়ার সুপরিসর ও রাস্তা ধরে অনেকেই তাদের জমি দেখতে যান। সঙ্গে বেড়ানোও হয়। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর অনেকে নিজ নিজ গাড়িতে উঠে বসেন। কিন্তু যাদের গাড়ি ছিল না তাদের অবস্থা হয় বেগতিক। দৌড়ে এদিক-সেদিক আশ্রয় নেন তারা।
Advertisement
আগামীকালও হতে পারে বৃষ্টিএদিকে ঢাকার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস থেকে পাঠানো বার্তায় আরও বলা হয়, রংপুর, বরিশাল, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা অঞ্চলে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টিসহ ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এইচএস/বিএ/এমএস