অর্থনীতি

ভারতে পাচার হয়েছে বিপুল পরিমাণ চামড়া

ঈদুল আজহার দিনে রাজধানীসহ সারাদেশে কোরবানি দেওয়া গরু ও ছাগলের চামড়ার বিপুল পরিমাণ প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাচার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে চামড়ার দাম কম হওয়ায় নানা উপায়ে অবৈধভাবে এসব চামড়া পাচার হয়ে যাচ্ছে।

রোববার জাগো নিউজকে এ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্ক্রিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান।

জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু জবাই হয়েছে। কিন্তু সে হিসেবে চামড়া প্রান্তিক, পাইকারি ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকদের কাছে নেই।

Advertisement

তিনি জানান, তারা আগে থেকেই প্রতিবেশী দেশ ভারতে চামড়া পাচারের আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। তাদের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। আর্থিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন কারণে প্রান্তিক, পাইকারি ও ট্যানারি মালিকদের মধ্যে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

টিপু সুলতান বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সময়মতো টাকা না পাওয়ায়, সীমান্তবর্তী জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা ভারতে চামড়া বিক্রি ও পাচার করছেন। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ চামড়ার দাম কম হওয়ায় তারা নানা অবৈধ উপায়ে চামড়া কিনে নিচ্ছেন।’

চামড়া ব্যবসায়ীদের এ নেতা বলেন, তারা ট্যানারি মালিকদের কাছে কোটি কোটি টাকা পাওনা হলেও ট্যানারিগুলো সাভারে স্থানান্তরসহ নানা অজুহাতে ট্যানারি মালিকরা টাকা পরিশোধ করছেন না। এ কারণে তারাও খুচরা ব্যবসায়ীদের টাকা দিতে পারছেন না। ফলে এবার লালবাগের পোস্তায় কাঁচা চামড়া বাজারে একশ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম চামড়া এসেছে।’

এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে চামড়া ব্যবসায় অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Advertisement

ট্যানারি ব্যবসায়ীদের হিসেবে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া। এসব চামড়ার অর্ধেকেরও বেশি আসে কোরবানির ঈদের সময়।

এবার ঈদের আগে সরকার পশু ও আকারভেদে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় ও ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০-২২ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫-১৭ টাকা দাম নির্ধারন করে দেওয়া হয়।

এমইউ/এসআর/পিআর