ফিচার

বাংলাদেশের সেরা ৫ বিজ্ঞানী

বিজ্ঞান মানেই নতুন নতুন আবিষ্কার। সেই নতুন আবিষ্কারে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের নাম। বিজ্ঞানে বাঙালি বিজ্ঞানীরা অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। এখনও রেখে যাচ্ছেন। সবার মধ্য থেকে সেরা পাঁচ বিজ্ঞানীর কথা তুলে ধরছি আজ।

Advertisement

জগদীশ চন্দ্র বসুউদ্ভিদে প্রাণের অস্তিত্ব সর্বপ্রথম অনুভব করেছিলেন বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু। বিভিন্ন উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি মনে করেন, বিদ্যুৎ প্রবাহে উদ্ভিদও উত্তেজনা অনুভব করে এবং সাড়া দিতে পারে। তার মানে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। ১৯১০ সালের দিকে তাঁর গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ হয়।

আরও পড়ুন- বিশ্বের কিছু ভুতুড়ে শহর

কুদরাত-এ-খুদাতিনি বনৌষধি, গাছগাছড়ার গুণাগুণ, পাট, লবণ, কাঠকয়লা, মৃত্তিকা ও অনান্য খনিজ পদার্থ নিয়ে কাজ করেন। তিনি ও তাঁর সহকর্মীদের ১৮টি আবিষ্কারের মধ্যে নয়টি পাটসংক্রান্ত। পাট ও পাটকাঠি থেকে রেয়ন ও কাগজ, রস ও গুড় থেকে মল্ট ভিনেগার উল্লেখযোগ্য। তাঁর ১০২টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

সত্যেন্দ্রনাথ বসুসত্যেন বোসের গবেষণা পার্টিকেল স্ট্যাটিস্টিক্স ১৯২২ সালে আইনস্টাইন জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম থিওরির অনেক পথ খুলে দেয়। কোয়ান্টাম ফিজিক্সের অনন্য আবিষ্কার ‘ঈশ্বর কণা’-র নামকরণ করা হয়েছে তাঁর ও পিটার হিগসের নামে– হিগস-বোসন পার্টিকেল।

আরও পড়ুন- সবচেয়ে বেশি প্রবাসী যে ১০ জেলায়

প্রফুল্ল চন্দ্র রায়বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পায়নে পি সি রায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি ১৮৯৫ সালে মারকিউরাস নাইট্রাইট আবিষ্কার করেন। এটি তাঁর অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। তিনি সমগ্র জীবনে মোট ১২টি যৌগিক লবণ এবং ৫টি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন।

মেঘনাদ সাহামেঘনাদ সাহা পরমাণু বিজ্ঞান, আয়ন মণ্ডল, পঞ্জিকা সংস্কার, বন্যা প্রতিরোধ ও নদী পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাপীয় আয়নবাদ সংক্রান্ত তত্ত্ব উদ্ভাবন করে জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

Advertisement

এসইউ/পিআর