হাজতবাসের পর তিনি এমন ভাব করছেন যেন তাকে ‘লঘু পাপে গুরু দণ্ড’ দেয়া হয়েছে! কখনো কাঁদছেন, কখনো চিৎকার করে বলছেন, কী করেছি আমি? আমার ভুলটা কোথায়? রোহতকের সুনারিয়া জেলের কয়েদিরা প্রতি রাতেই এই কথাগুলো শুনছেন।
Advertisement
জেলের যে সেল থেকে কথাগুলো ভেসে আসছে, সেখানে সদ্য সাজা পেয়ে এসেছেন নতুন এক কয়েদি। তিনি হলেন, ধর্ষক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম। তার পাশের সেলেই ছিলেন দলিত নেতা স্বদেশ কারার। জেল থেকে সদ্য মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
স্বদেশ জানান, সারা দিন যেমন তেমন ভাবে কাটলেও, রাতে যেন বাবা-র আচরণ সম্পূর্ণ বদলে যায়। সারা রাত ধরে চিৎকার করতে থাকেন সেলের ভেতর। ঠিক করে ঘুমাচ্ছেন না, খাচ্ছেন না। শুধু প্রলাপ বকে যাচ্ছেন, তিনি কী এমন করেছেন যে তাকে এমন সাজা দেওয়া হল!
তিনি জানান, রাম রহিমের কারণে এতগুলো লোকের প্রাণ যাওয়াটা নাকি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি জেলের অন্য কয়েদিরা। রাম রহিমের বিরুদ্ধে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। অন্য কয়েদিদের সঙ্গে এক সেলে রাখা হলে রাম রহিম খুন হতে পারেন, এই আশঙ্কায় তার জন্য আলাদা সেলের ব্যবস্থা করে জেল কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
স্বদেশ বলেন, জেলের নিয়ম অনুযায়ী অন্য কয়েদিদের মতোই রাখা হয়েছে রাম রহিমকে। বিলাসবহুল জীবন থেকে সোজা এসে পড়েছেন জেলের ছোট সেলে। যেখানে নেই এসি, নেই আরামদায়ক বিছানা, নেই কোনও স্বাচ্ছন্দ্যও। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। এমনকী তার বর্তমান পরিচয়, কয়েদি নম্বর ৮৬৪৭, এতেও প্রবল আপত্তি ‘বাবা’র!
দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গত ২৮ অাগস্ট ২০ বছরের সাজা হয়েছে তার। বিলাসবহুল জীবন থেকে তার ঠাঁই এখন রোহতকের সুনারিয়া জেলের ছোট্ট একটা কুঠুরিতে। সার্বক্ষণিক পাহারায় রয়েছে চার কারারক্ষী। আনন্দবাজার।
এসআইএস/এমএস
Advertisement