তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিএনপি নেত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের সময় হরতাল, পেট্রলবোমা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সেই তারাই এখন আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছিলেন। খালেদা জিয়া নরেন্দ্র মোদির কাছে লিখিত ফর্দ নিয়ে একের পর এক দাবি তুলেছেন, আমরা টেলিভিশন পর্দায় দেখেছি। তিনি বলেন, কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার অবিসংবাদিত নেতা নরেন্দ্র মোদি তাকে (খালেদা) বলে দিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গিবাদী, মৌলবাদীদের কোনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হবে না। বিশ্বের সব দেশই এখন জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। সোমবার জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশনে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।পলক বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ও নরেন্দ্র মোদির ভিশন একই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আমাদের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি (মোদি) ঠিকই বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদকে আশ্রয় দেয়া হবে না।অপরদিকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, পেট্রলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মেরে, জ্বালাও-পোড়াও নেত্রী খালেদা জিয়া নিজে হরতাল ডেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে দেখা করেননি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার জন্য কী আকুলি-ব্যাকুলি প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তাদের সম্পর্কে সবাই জানে। মতিয়া চৌধুরী বলেন, বছরের চার ভাগের এক ভাগ তারা দেশে হরতাল-অবরোধ জ্বালাও-পোড়াও করে উন্নয়নের গতি থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণে উন্নয়ন গতি ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তিনি বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য মূলক কর্মকাণ্ড শক্তহাতে প্রতিহত করেছেন। অর্থমন্ত্রী সাহসী বাজেট দিয়েছেন। মানুষ খেয়ে পড়ে আরামে আছে। তাদের গড় আয়ু বেড়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় তারা ভালো আছে। প্রস্তাবিত সম্পূরক বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে একটি সমৃদ্ধ বাজেট উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন উপাধ্যক্ষ আবদুশ শহীদ। আলোচানয় অংশ নেন মতিয়া চৌধুরী, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, ডা রুস্তম আলী ফরাজী, জুনায়েদ আহমদ পলক, শওকত চৌধুরী প্রমুখ। বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, উন্নয়ন বাজেটের শুভঙ্করের ফাঁকি দূরীকরণে সরকারের কঠোর দিক নির্দেশনা থাকা উচিত। কারণ এপ্রিলে যে উন্নয়ন বাস্তবায়নের হার দেখা যায় ৩৬ শতাংশ, জুন মাসে সে কাজের শতভাগ বাস্তবায়ন দেখানো হয়। এটা কীভাবে সম্ভব? এখানে শুভকঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। এক্ষেত্রে মন্ত্রীদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সব মন্ত্রী খারাপ আমি এটা বলছি না। তবে কোনো কোনো মন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দায়িত্বশীল নয়। কারণ মার্চ-এপ্রিলে উন্নয়ন বাস্তবায়নের হার যেখানে ৩০-৩৬ শতাংশ সেখানে মে-জুনে এসে সেই উন্নয়ন কাজের শতভাগ বাস্তবায়ন একটি ভুতুড়ে বিষয়। সরকারের এটা দেখা উচিত।এইচএস/বিএ/আরআইপি
Advertisement