জাতীয়

সদরঘাটে যাত্রীদের ঢল

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি মাত্র একদিন। ব্যস্ত নগরবাসী স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে কদিন আগে থেকেই। সড়ক, রেলসহ সব পথে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে।

Advertisement

কিন্তু এতদিন যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও সপ্তাহের শেষ দিন যাত্রীদের ঢল নেমেছে সদরঘাটে। যাত্রীদের ভিড়ে লঞ্চ টার্মিনাল যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদরঘাট নৌ টার্মিনালে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। টার্মিনালে প্রবেশ পথে টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। পন্টুনগুলোতে যাত্রীদের জটলা। ক্ষণিক সময়ের মধ্যে লঞ্চযাত্রী বোঝাই হয়ে যাচ্ছে। তবে যত তাড়াতাড়ি যাত্রী বোঝাই করা হোক না কেন লঞ্চগুলো গ্যাংওয়ে ছাড়তে সময় নিচ্ছে। কারণ প্রতিটি লঞ্চের পিছনে লঞ্চের জটলা রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বার বার মাইকে বলা হচ্ছে, পন্টুন বা মূল টার্মিনালে ভিড় না করে যাত্রী ছাউনিতে বিশ্রাম নিতে।কিন্তু কে শোনে কার কথা। কেউ যাত্রী ছাউনিতে যাচ্ছেন না। দীর্ঘ সময় মূল টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকছেন।

Advertisement

পিরোজপুরগামী মো. ফারহান নামের এক শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, এমভি মানিকে পিরোজপুর যাব। সন্ধ্যায় লঞ্চ ছাড়ার কথা। ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ থাকে। তাই তাড়াতাড়ি চলে আসছি। তবে মতিঝিল থেকে আসতে যত না কষ্ট করতে হয়েছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট টার্মিনালে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে মূল টার্মিনালে আসতে। মানুষের চাপ আর ভারি ব্যাগ বহন করতে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে ভাই।

বিআইডব্লিউটিএ ও ঢাকা নদীবন্দর ট্রাফিকের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে বলেন, বিগত দিনের তুলনায় আজ চাপ বেশি। বিকালে যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে। তবে যাত্রীদের সব সুযোগ সুবিধা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। তিনি এমভি ফারহান-৯ লঞ্চের যাত্রীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে আইজিপি একেএম শহীদুল হক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, লালবাগ পুলিশের ডিসি ইব্রাহিম খান, ঢাকা নদীবন্দর ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসএম/এএইচ/জেআইএম

Advertisement