সম্ভবত আঙুর প্রথম এসেছে কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চল থেকে। তবে, আজকাল বেশিরভাগ আঙুর আসে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে। প্রাচীন গ্রিকদের কাছে পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে আঙুরের তৈরি ওয়াইনকে ‘দেবতার রক্ত’ বলা হতো, যা আজও প্রতীকি চিহ্ন বহন করে।
Advertisement
সারা বিশ্বে যত রকম গাছের চাষ করা হয়, সেগুলোর মধ্যে আঙুর সবচেয়ে পুরনো। আঙুর শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, খেতেও সুস্বাদু ফল। তবে হালকা সবুজ রংয়ের আঙুর থেকে লাল বা গাঢ় সবুজ রংয়ের আঙুরে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।
আঙুরে ‘ভিটামিন সি’ তেমন না থাকলেও আঙুর ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও এটি ব্যাপক ভূমিকা রাখে। গরমকালে যথেষ্ট আঙুর খেলে শীতকালেও সুস্থ থাকা যায়।আঙুর খেয়ে ওজন কমান৷
সপ্তাহ দুয়েক প্রতিদিন খোসাসহ দু’কেজি আঙুর আর সাথে যথেষ্ট পরিমাণে জল বা গ্রিন চা পান করলে কয়েক কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে সে আঙুর হতে হবে অবশ্যই কোনো রকম কেমিকেল ছাড়া পুরোপুরি অর্গানিক উপায়ে চাষ করা। আঙুরের বড় গুণ হল – এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়৷
Advertisement
আঙুরে রয়েছে প্রচুর ফাইবার আঙুরের খোসাতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে (রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা) শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। আঙুরে অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় যা শরীরের বাড়তি জল কমিয়ে প্রয়োজনীয় জলের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
অ্যান্টি এজিং (বার্ধক্য প্রতিরোধী) শুধু গ্রিন টি নয়, আঙুরও তারুণ্য ধরে রাখতে এবং রূপ লাবণ্য বাড়তে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় আঙুর ক্যানসার সেলগুলোর বৃদ্ধি কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
আঙুর থেকে তৈরি হয় ওয়াইন, যা সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। আমাদের সংস্কৃতিতে মদ খাওয়ার প্রচলন নেই, মদ শুনলেই অনেকে আঁতকে ওঠেন৷ তবে পশ্চিমা ডাক্তার বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, সামান্য পরিমাণে রেড ওয়াইন খাওয়া খুবই ভাল। অর্থাৎ প্রতিদিন রাতে আধাগ্লাস থেকে একগ্লাস রেড ওয়াইন খেলে তা হার্ট ভালো রাখতে এবং শরীরের রক্ত চলাচলও ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এই, রেড ওয়াইন তৈরি করা হয় আঙুর থেকেই । তাই, আঙুর খান, সুন্দর থাকুন।
Advertisement