জাতীয়

কোরবানির পশু কেনার সেই আমেজ অহন নাই

‘কোরবানির ঈদের আগের দিনের সেই অ্যামেজ (আমেজ) অহন আর নাই। কাল বাদে পরশু ঈদ। অথচ রাস্তাঘাটে গরু লইয়া পোলাপাইনের আনন্দ কইরা হাইট্যা যাওয়ার সেই সিনারি (দৃশ্য) দেহা যায় না। অথচ কয়েক বছর আগেও ঈদের দুই সপ্তাহ আগে থাইক্যাই গরু কেনা লইয়া জল্পনা-কল্পনা শুরু অইতো। কোন হাট থাইক্যা কেনা অইবো, গরু কিনতে কে কে যাইব, হাটে যাওয়ার লাইগ্যা মুরুব্বিগো কাছে পোলাপাইনের বায়না ইত্যাদি কত কিছুই না হতো। কিন্তু অহন আর অইগুলা নাই। কোনখানে হারাইয়া গেল কোরবানির ঈদের সেই অ্যামেজ।’

Advertisement

রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগের আজিমপুর কবরস্থানের দক্ষিণ দিকে প্রবেশদ্বার সংলগ্ন ঢাকা (দক্ষিণ) সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে আনুমানিক ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে আলাপকালে ঠিক এভাবেই কোরবানির ঈদ সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন। বৃদ্ধের পাশে যারা দাঁড়িয়েছিলেন তারাও মাথা নাড়িয়ে বৃদ্ধকে সমর্থন জানাচ্ছিলেন।

আজ বাদে কাল ঈদ। আজ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে লালবাগ, আজিমপুর, হাতিরপুল, ধানমন্ডি, হাজারীবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্বল্পসংখ্যক মানুষ লালবাগ বেড়িবাঁধ, হাজারীবাগ ও রহমতগঞ্জের গরু-ছাগলের হাট থেকে ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের গরু কিনে ফিরছেন। গরু দেখলেই লোকজন এই যে ভাই, দাম কত বলতে দেখা গেছে। তবে গরুর সঙ্গে ছোট বয়সী শিশুদের তেমন দেখা যায়নি।

রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার এক ভদ্রলোক লালবাগ বেড়িবাঁধ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। তিনি জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার গরুর সরবরাহ কম, ক্রেতাও খুব একটা হাটে দেখেননি। হয়তো সকালে বৃষ্টির কারণে হাট জমেনি, তাই এ অবস্থা বলে মনে করছেন তিনি।

Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এসএম হলের সামনে এক যুবককে ছোট আকারের গরু কিনে ফিরতে দেখা যায়। দাম জানতে চাইলে তিনি জানান, হাসিলসহ ৪৩ হাজার টাকা পড়েছে। ওই যুবক জানান, নিউমার্কেটে তার কাপড়ের দোকান আছে। এবারই প্রথম নিজের টাকায় কোরবানি দিচ্ছেন। বাজেট ছিল ৫০ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, হাটে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা কিংবা তার চেয়ে বেশি দামের গরু বেশি উঠেছে। হাজার পঞ্চাশেক টাকায় গরু মিলাতে না পেরে বাজেটের চেয়ে কিছুটা কম দামে ছোট গরু কিনেছেন।

জেইউ/এএইচ/ওআর/জেআইএম

Advertisement