দেশজুড়ে

রূপার মরদেহ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর খুন হওয়া জাকিয়া সুলতানা রূপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজনের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

Advertisement

এর আগে বেলা ১১টার দিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন নিহত রূপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন।

সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হওয়ার চারদিন পর নিহত রূপার পরিবারের পক্ষ থেকে মধুপুর থানা পুলিশের কাছে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করা হয়। পরে থানা পুলিশ আদালতে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করে। বৃহস্পতিবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন মরদেহটি উত্তোলনের আদেশ দেন।

বিকেলে রূপার মরদেহ উত্তোলনের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষে নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান প্রামাণিক মরদেহটি বুঝে নেন। রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ী গ্রামে। তাকে ওই গ্রামেই দাফন করা হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে এক তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকার খবর পায় মধুপুর থানা পুলিশ। পরে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে আসে।

শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করে অপরাধীরা নিরাপদ ভেবে অজ্ঞাত ওই তরুণীর মরদেহ বনের সড়কে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় শনিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করে মধুপুর থানা পুলিশ। মরদেহের পরিচয় না মেলায় ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করে পুলিশ। এরপর থেকে অপরাধীদের শনাক্ত করার জোর চেষ্টা চালায় তারা। পরে তরুণীর বড় ভাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে সোমবার রাতে মধুপুর থানায় উপস্থিত হয়ে মরদেহের ছবি দেখে পরিচয় শনাক্ত করেন।

আরিফুর রহামান টগর/আরএআর/আইআই

Advertisement