টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার রূপা খাতুনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
রূপার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন। মধুপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রূপার মরদেহ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য ব্যবস্থা নিতে নিহত তরুণীর বড় ভাই হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক গতকাল বুধবার থানায় আবেদন করেন। তার আবেদনটি আজ আদালতে উপস্থাপন করে পুলিশ। আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশ দিয়েছেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মরদেহ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজন জানিয়েছেন, বিকেলে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে রূপার মরদেহ উত্তোলন করা হবে।
Advertisement
গত শুক্রবার রাতে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে রূপাকে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা করেন পরিবহন শ্রমিকরা।
পরে তার মরদেহ টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রাখা হয়। রাত ১১টার দিকে রূপার মরদেহ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ।
গত শনিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রূপার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই দিনই টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ মরদেহ দাফন করা হয়।
গত সোমবার রূপার বড় ভাই হাফিজুল একটি পত্রিকায় বেওয়ারিশ মরদেহ দাফনের সংবাদ দেখে মধুপুর থানায় এসে বোনের মরদেহ শনাক্ত করেন।
Advertisement
পরে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে রূপার মরদেহ তুলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। এজন্য রূপার বড় ভাই পুলিশের কাছে আবেদন করেন।
এ ঘটনায় ওই বাসের চালক, সুপারভাইজার, সহকারীসহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা সবাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর রহমান (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগের দিন বাসের তিন সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
এএম/আইআই