জাতীয়

এক ডজনের পর আরও গরু কিনবেন এমপি রহমতুল্লাহ

নিজ নির্বাচনী এলাকায় কোরবানি দেয়ার জন্য ১২টি বড় গরু কিনেছেন ঢাকা-১১ (বাড্ডা-ভাটারা) আসনের এমপি একে এম রহমতুল্লাহ। অস্ট্রেলিয়ান সাদা রঙের গরুগুলোর জন্য তাকে গুনতে হয়েছে ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। চার বছর বয়সি ছয় দাঁতের গরুগুলো দেখতে ইতোমধ্যেই স্থানীয়রা এমপির বাড়িতে ভিড় করছেন। প্রতি বছর তিনি এই ধরনের ২৫-৩০টি গরু কিনে প্রতিটি বাড়িতে মাংস পৌঁছে দেন বলে জানান এলাকাবাসী।

Advertisement

রাজধানীর নতুন বাজার এলাকার একশ ফিট পশুর বাজার থেকে একই ধরনের সাদা রঙের গরুগুলো কেনেন তিনি। বৃহস্পতিবার ওই বাজার ঘুরে ও এমপির নির্বাচনী এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এমপি নাটোরের গুরুদাসপুর থানার কাছিকাটা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মো. হোসেনের কাছ থেকে গরুগুলো কেনেন। প্রতিটি গরুর দাম রাখেন তিনি ২ লাখ ২০ হাজার। তবে একই সঙ্গে এতগুলো গরু বিক্রি করেও খুশি নন গরু বিক্রেতা।

জাগো নিউজকে তিনি জানান, এবার হাটে ১৪টি গরু এনেছিলেন। এর মধ্যে ১২টিই বেরাইদের এমপি কিনেছেন। তার আশা ছিল সাড়ে তিন লাখ করে প্রতিটি গরু বিক্রি হবে। কিন্তু গরুগুলো তাকে লসে বিক্রি করতে হয়েছে। কারণ এগুলো আর ফেরত নিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই। ওই ব্যবসায়ীর ভাষায়, আবার কাবু (ছোট) গরু কিনে তাজা বানাবেন তিনি। তখন যদি কিছু লাভ থাকে।

Advertisement

বেরাইদ এলাকার চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এমপি সাহেব সাধারণত গাবতলী থেকে গরু কেনেন। এবার কাছের বাজারেই বড় গরু পাওয়ায় তিনি এগুলো কিনেছেন। তিনি আরও গরু কিনবেন। এগুলো দেখার জন্য অনেকেই আসছেন।

ওই এলাকার বাড্ডা ৯ নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এমদাদ হোসেন বলেন, আমাদের এমপি প্রতি বছর ২৫-২৬টি গরু কোরবানি দেন। আর ঈদের দিন দুপুর ১২টার মধ্যেই ধনী-গরিব সবার বাসায় মাংস পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

জাতীয় সংসদে জমা দেয়া জীবনবৃত্তান্ত থেকে জানা যায়, এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহ এপেক্স ট্যানারি, ডাইসিপেক্স টেক্সটাইল মিলস এবং এপেক্স প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এছাড়া তিনি ফুটবেড ফুটওয়্যার,পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. এবং এফবি ফুটওয়্যার লি. এর চেয়ারম্যান। ৪র্থ, সপ্তম এবং নবম জাতীয় সংসদেরও এমপি ছিলেন তিনি।

Advertisement

এইচএস/এমএমজেড/পিআর