দেশজুড়ে

চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা, চালক ও সুপারভাইজারের স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় গ্রেফতার বাস চালক ও সুপারভাইজারও অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Advertisement

এরা হলেন ছোঁয়া পরিবহনের ওই বাসের চালক ময়মনসিংহের মির্জাপুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে হাবিব ও সুপারভাইজার একই এলাকার সুলতান আলীর ছেলে সফর আলী ওরফে গেদু।

এছাড়া একই বাসের আরেক হেলপার লিটন মিয়া ঘটনার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমিনুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া ও মো. শামছুল হক আলাদাভাবে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কাইয়ুম খান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

এ নিয়ে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ একজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হলো।

পুলিশের এসআই কাইয়ুম বলেন, ঘটনার দুদিন পর ওই বাসে হেলপারি করতে গিয়ে লিটন বাসের স্টাফদের কাছে ঘটনা জানতে পেরেছিল বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার চালকের সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে রাতেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এই পাঁচজন মিলেই চলন্ত বাসে পাঁচদিন আগে জাকিয়া সুলতানা রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

Advertisement

নিহত রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন তিনি। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে।

ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন রূপা। চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় ফেলে দেয়া হয়।

গত শনিবার মরদেহ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন ও অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে পুলিশ। পরে গণমাধ্যমে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার।

পরে রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরিফ উর রহমান টগর/এএম/জেআইএম