পবিত্র ঈদুল অাজহার দিন যত ঘনিয়ে অাসছে ঘরমুখো মানুষের স্রোত তত বাড়ছে। প্রিয়স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে সড়ক পথের মতো নদী পথেও ভিড় করছেন যাত্রীরা। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সদরঘাটে ভিড় তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। বেড়েছে লঞ্চের সংখ্যাও। ফলে টাইম টেবিল ছাড়াই যাত্রীবোঝাই লঞ্চগুলো ছুটছে নিজ নিজ গন্তব্যে। বুধবার দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
Advertisement
এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের অাহ্বায়ক মামুন অর রশিদ মামুন জাগো নিউজকে বলেন, যাত্রীর চাপ বলতে যা বোঝায় তা কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হবে। তবে সাধারণ দিনগুলোতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪০টার মতো লঞ্চ এ ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। ঈদ উপলক্ষে অাজ এই সময়ে ৬০-৭০টা লঞ্চ ছেড়ে গেছে। তবে লঞ্চগুলো ছাড়ার নির্দিষ্ট টাইম নেই। যাত্রী হলেই নির্ধারিত সময়ের অাগে ছাড়ছে লঞ্চ।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীর চাপ বেশি হওয়ায় দ্রুত বোঝাই করে নির্দিষ্ট রুটে লঞ্চ ছাড়ছে। যাত্রীবোঝাই হওয়া মাত্রই লঞ্চগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছুটছে।
লঞ্চ টার্মিনাল সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে ঈদের সময় লঞ্চগুলোর শিডিউল থাকে না। লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট শিডিউল না থাকায় নগরীর জ্যামে আটকা যাত্রীরা যেকোনো সময়ই ঘাটে হাজির হয়ে লঞ্চ ধরতে পারে।
Advertisement
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফখরুল ইসলাম শাহীন। এম ভি রাসেল-৪ লঞ্চে করে ভোলায় যাবেন তিনি।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, অামার বাসা ফার্মগেট। প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা লেগেছে ঘাটে আসতে। জ্যামে খুব কষ্ট হয়েছে। তবে কোনো দুশ্চিন্তা ছিল না, কারণ লঞ্চ ছাড়ার তো কোনো টাইম টেবিল নেই। যখন আসব, তখনই পাওয়া যাবে লঞ্চ। এখন লঞ্চের সিটে বসতে পেরে পথের ভোগান্তি নিমেষেই শেষ হয়ে গেছে।
এসএম/জেডএ/এমএস
Advertisement