বরগুনায় ছোট ভাইকে খুঁটিতে বেঁধে বউয়ের মলমূত্র খাওয়ানো হয়েছে বলে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
Advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার বরগুনার বামনা উপজেলার পূর্ব সফিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি পরে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জড়িত বড় ভাইসহ দুইজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আদম আলী মল্লিকের ছেলে মো. ইউনুস (৩৫) এলাকায় কথিত ফকির হিসেবে পরিচিত। তার বড় ভাই মো. ইসমাইলের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল।
পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে গত শুক্রবার ইসমাইল, তার স্ত্রী পারুল বেগম এবং ছেলে সোহাগসহ পরিবারের সদস্যরা ফকির মো. ইউনুসের বিরুদ্ধে জাদু-টোনার মাধ্যমে ক্ষতিসাধনের অভিযোগ তোলেন।
Advertisement
পরে তারা মো. ইউনুসকে বাড়ি থেকে ধরে এনে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বাঁধেন। সেখানে ইউনুসকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে বোতলে ভরে বড় ভাইয়ের স্ত্রী পারুল বেগমের মলমূত্র ইউনুসকে জোরপূর্বক খাওয়ানো হয়। এ সময় ইউনুসের মা রাজিয়া বেগম বাধা দিলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে নির্যাতনকারীরা।
ইউনুস গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
তাৎক্ষণিক এমন অমানবিক নির্যাতনের চিত্র স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ধারণ করে পরে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং মুহূর্তেই তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে মোবাইল থেকে মোবাইলে। একপর্যায়ে এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ নির্যাতনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বামনা থানা পুলিশ। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় নির্যাতনকারীরা। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় সোহাগকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
Advertisement
জানতে চাইলে বামনা থানা পুলিশের ওসি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বড় ভাইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
এএম/এমএস