মঙ্গলবার বিকেলেই হঠাৎ প্রেসবক্সে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং আসছেন বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার খেলা দেখতে; কিন্তু শেষ বিকেলে আর তিনি আসেননি। আজ জানা গেল, দু-এক ওভার খেলা দেখতে আর আগ্রহ বোধ করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে যখন পুরো দেশ এই টেস্টে জয় নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন, তখনও জয়ের ব্যাপারে পুরো আশাবাদী ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
Advertisement
তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে আসেননি। তবে চতুর্থ দিন ঠিকই মাঠে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মাঠে বসেই সাকিব-মিরাজ-তাইজুলদের জয় উপভোগ করলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াকে হারানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন বলেন, ‘সবাই যখন জয়ের ব্যাপারে হতাশায় ভুগছিলেন, তখনও প্রধানমন্ত্রী জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন।’
বাংলাদেশের জয়ের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলেই জানান বিসবি বস পাপন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওনার মনের মধ্যে খুব সাহস ছিল। আমি বলছি, আপা এখন উইকেট পড়ছে, আপনি জলদি আসেন। আপা আমাকে বললেন, আমি আসতে আসতেই শেষ হয়ে যাবে প্রায়। দেইখো তুমি। এই আত্মবিশ্বাসটা ওনার ছিল। উনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।’
জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী সব ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন বলেও জানান পাপন। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘খেলোয়াড়দের সবার সাথে ব্যক্তিগতভাবে উনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলেছেন। কোচিং স্টাফদের সাথেও কথা বলেছেন। এই প্রথম বিসিবির কর্মকর্তাদের সাথে আলাদা করে কথা বলেছেন, ছবি তুলেছেন। এটা একটা অন্যরকম পরিবেশ ছিল।’
Advertisement
গতকাল ফোন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দলের জন্য নাকি দোয়াও চেয়েছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ওনাকে যেটা কালকে বলেছিলাম সেটা হলো, আপনি দোয়া করেন। এরকম পরিস্থিতিতে আমি সাধারণত ওনাকে বলি, আপনি দোয়া করেন। আপনারা জানেন যে উনি খেলা কেমন ভালোবাসেন।’
গতকাল আসার কথা থাকলেও কেন আসেননি তারও জবাব দেন পাপন। জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকালে আসতে চেয়েছিলেন। আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন, উনি আসছেন। এডিসিসহ সবাই মিলে বললেন, উনি আসবেন খেলা দেখতে। তারপর আমি ওনাকে বললাম, এখন তো খেলা প্রায় শেষ। আর এক ঘন্টার মত হবে। তখন তিনি বললেন, আমি কি খেলা দেখব না? তখন আমি ওনাকে বললাম, আপনি কালকে (আজ) আসেন। কালকে খেলা আছে। তখন তিনি বললেন, ঠিক আছে আমি তাহলে কালকেই আসবো। এই ছিল কথা।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠেছেন সৌভাগ্যের প্রতীক। যখনই তিনি খেলা দেখতে আসেন, তখন জয় পায় টাইগাররা। এমএএন/আইএইচএস/পিআর
Advertisement