অবশেষে অবসান হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে শাকিব খানের দ্বন্দ্বের। শাকিব তার ভুল বুঝতে পেরে কিংবদন্তি অভিনেতা ফারুকের উত্তরাস্থ বাসায় গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তার ওপর আরোপ করা সবে বয়কট আদেশ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলচ্চিত্র পরিবার।
Advertisement
হুট করে এই মধ্যস্থতা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে চলচ্চিত্র পাড়ায়। তবে এসব প্রতিক্রিয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে মিলেমিশে চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিবার ও শাকিব দ্বন্দ্বের অবসান ঘটনোর অন্যতম মধ্যস্থতাকারী প্রযোজক নেতা আরশাদ আদনান।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গেল কয়েক মাসে ঢাকাই ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে প্রযোজকরা টাকা লগ্নি করার সাহস হারিয়েছেন। কোনো ছবি নেই, যা কিছুর মহরত হচ্ছে সেগুলো মহরতেই আটকে থাকছে। একের পর এক বয়কট আর হামলা-মামলার ঘটনায় বিপর্যস্ত আমরা সবাই। তাই সব ঝামেলার অবসান ঘটানোর জন্য চেষ্টা করছিলাম আমিসহ আরও অনেকেই। কারণ আমরা বিভাজন চাই না। চাই মিলেমিশে থাকতে।
সেই ভাবনা থেকেই চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক ফারুক আংকেলের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমার বন্ধু বাপ্পারাজও এই বিষয়টির মীমাংসার জন্য চেষ্টা করছিল। নায়ক শাকিব খানকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে সিনিয়র ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে লাভ কিছু নেই। নিজেদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে, চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে দুজনের সঙ্গেই কয়েক দফা মিটিং করেছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল ফারুক আংকেলের বাসায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে চলচ্চিত্র পরিবারের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। শাকিব খানের দুঃখ প্রকাশের পর ফারুক আংকেল তাকে বুকে টেনে নিয়েছেন। মিশা সওদাগর, জায়েদ খানসহ সবাই কোলাকুলি করে নতুন যাত্রার অঙ্গীকার করেছেন।’
Advertisement
‘সুলতানা বিবিয়ানা’ খ্যাত ছবির এই প্রযোজক আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম গতকালের রাতে বিষয়টি মিটমাট করে আজ বুধবার বিকেলে এফডিসিতে ঘোষণা দেয়া হবে। কিন্তু রাতেই বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং আমাদের বৈঠকের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। সবাই দ্বন্দ্বের অবসান হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। চলচ্চিত্র পরিবার ও শাকিব খানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ এই বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে নানারকম কথা লিখছেন ও বলছেন।
আমি সবার উদেশ্যে বলতে চাই, নেতিবাচক মনোভাব ছেড়ে আসুন চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাই। এটা আমাদের পরিবার। নিজেরা বিভেদ-বিভাজনে মেতে থাকলে কে কাকে রক্ষা করবে। শিগগিরই আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে ঢাকাই ছবির বাজার সেই প্রত্যাশা করি।’
এলএ/এমএস
Advertisement