দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সিলেটের প্রকৃতি কন্যা জাফলং। কিন্তু সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর থেকে জাফলং পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তার সর্বত্রই প্রায় খানাখন্দে ভরা। এর মধ্যে জাফলংয়ের মামার বাজার থেকে বল্লাঘাট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
Advertisement
শীত মৌসুমে এই এলাকার মহাসড়ক পরিণত হয় ধুলোর রাজ্যে আর বর্ষাকালে থাকে কাদাজলে একাকার। দীর্ঘদিন থেকে এমন বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও এই রাস্তার সংস্কার কাজ করার দায়বদ্ধতা যেন নেই কারো।
কাদাজল মাড়িয়ে এই রাস্তা ধরে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পর্যটকবাহী কয়েকশ যানবাহন। জাফলংয়ে আগত পর্যটকদের ভাষ্যমতে 'পথের শেষই যেন পথের বেড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে'। রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে দিনে দিনে পর্যটকবিমুখ হয়ে পড়ছে জাফলং।
এর ফলে আর্থিক লোকসানের দিকে পতিত হচ্ছে এই এলাকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রায় সহস্রাধিক ব্যবসায়ী। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা যেন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ও ধার দেনা করে দোকানে মালামাল তুলেছেন। কিন্তু বেহাল রাস্তায় পর্যটক হ্রাস পাওয়ার দুশ্চিন্তা তাদের পিছু ছাড়ছে না।
Advertisement
পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ের 'ক্ষুধা' রেস্টুরেন্টের স্বত্তাধিকারী শফিকুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তা বিগত কয়েক বছর ধরে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। সড়কটি মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কারও যেন কোনো দায় নেই। রাস্তাটির এমন বেহাল দশার কারণে দিনে দিনে পর্যটন কেন্দ্র জাফলং পর্যটকবিমুখ হয়ে পড়ছে। যার ফলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়ছি। ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা ভালো না থাকায় অনেকের বেকার হওয়ার উপক্রম।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাটের ইউএনও বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকে বেহাল দশায় রয়েছে ঠিকই। ঠিক কী কারণে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি তা আমার জানা নেই। তবে ঈদকে সামনে রেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় দু'এক দিনের মধ্যেই সড়কটিকে যান চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে তিনি জানান।
ছামির মাহমুদ/এফএ/পিআর
Advertisement