‘প্রতিটি জীবনকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ এটা আল্লাহ তাআলার ঘোষণা। যার কোনো ব্যতিক্রম হবে না। কিন্তু হজের সফরের মৃত্যু হলো সবচেয়ে সৌভাগ্যের মৃত্যু। কারণ ইহরাম অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি কিয়ামতে দিন তালবিয়া পাঠ করতে করতে ইহরামের পোশাকে পড়ে ওঠবেন।
Advertisement
আর সেলাইবিহীন দুই কাপড়ের ইহরামের পোশাক মুসলিম উম্মাহকে মৃত্যুর কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কারণ সেলাইবিহীন সাদা পোশাকেই সব মানুষকে দাফন করা হয়।
এ কারণেই হজ ও ওমরা পালনে জন্য ইহরামের পোশাক পরিধানের মাধ্যমেই মানুষ পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণেরই শিক্ষা লাভ করে। আবার হজের সফরে অনেক হজযাত্রীই মৃত্যু বরণ করেন। এ মৃত্যু সৌভাগ্যের।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজের সফরের মৃত্যু বরণকারী ব্যক্তির জন্য বিশেষ সুসংবাদ প্রদান করেছেন। হাদিসে এসেছে- হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে এক সফরে ছিলাম।
Advertisement
সে সময় ইহরাম অবস্থায় এক ব্যক্তি হঠাৎ উটের পিঠ হতে পড়ে গিয়ে ঘাড় ভেঙে মৃত্যুবরণ করে। তখন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তোমরা সিদ্ধ পানিতে কুল গাছের পাতা দিয়ে তাকে গোসল দাও এবং তাঁর ইহরামের কাপড় দু’টি দিয়েই কাফন দাও।
তবে তার শরীরে সুগন্ধি লাগাবে না এবং তার মাথা ঢাকবে না।
কেননা কিয়ামতের দিন তাকে (ইহরাম অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিকে) তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় ওঠানো হবে। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ) হাদিসের বর্ণনায় অনুযায়ী, ইহরাম অবস্থায় মৃতবরণকারী ব্যক্তিকে কিয়ামতের দিন ইহরামের পোশাকে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় ওঠানো হবে। সুতরাং ইহরামপালনকারী মৃত ব্যক্তিদের জন্য কান্না বা রোনাজারি নয়, বরং ইহরামরত অবস্থায় মৃত ব্যক্তি সৌভাগ্যবান।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পবিত্র নগরী মক্কায় হজের উদ্দেশে জড়ো হওয়া সবাইকে সুন্দর ভাবে হজ সম্পাদনের তাওফিক দান করুন। হজ পরবর্তী জীবনে হজের শিক্ষা নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন।
Advertisement
বিশেষ করে হজের সফরে মৃত্যুবরণকারী সব হজযাত্রী ও হাজিদেরকে পরকালে নাজাত দান করুন। তাদের কবুল হজের ওসিলায় তাদের পরিবারের প্রতি রহমত বরকত নাজিলসহ পরকালের নাজাতের ফয়সালা করে দিন।
আল্লাহ তাআলা পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতায় ইহরাম অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীদের উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আইআই