দেশজুড়ে

শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

যশোরের শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র মজুমদার এর বিরুেেদ্ধ অনিয়ম দুনীর্তি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানো নাটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতেও বলা হয়েছে।

Advertisement

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র মজুমদারকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় শার্শার বাগআঁচড়া ডা. আফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের ‘খ’ সেটের ২০০ শত সেট প্রশ্ন গত ২৯ মার্চ যশোর ট্রেজারি শাখা হতে গ্রহণ করে শার্শা থানায় নিরাপদ হেফাজতে রাখাসহ প্রশ্নপত্র শটিং এর দায়িত্ব প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম শরিফুল আলম।

দু’মাস পার হওয়ার পর ৬ জুন বিকেলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র মজুমদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রশ্নপত্র শটিং এর তথ্য প্রদান করে বলেন যে, ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের ‘খ’ সেট এর ২ শ’ প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেট পাওয়া যায়নি। আর মাত্র ৩ দিন পর বুধবার ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি নিয়মনীতি ও চাকুরির বিধান লঙ্ঘন করে ২ জুন রেজিস্টার খাতায় লিখে রেখেছেন সরকারি কাজে তিনি ঢাকায় যাচ্ছেন। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মকর্তার পূর্ব অনুমতি অনুমোদন সাপেক্ষে কর্মস্থল ত্যাগ করার কথা থাকলেও ঐ কর্মকর্তা শার্শায় যোগদান করার পর এ পর্যন্ত কর্মস্থল ত্যাগ করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতির প্রয়োজন মনে করেননি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গত ২ জুন থেকে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

Advertisement

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম শরিফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। সরকারি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

জামাল হোসেন/এসএইচএস