সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের জোড়া ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৬০ রান। জবাবে সবকটি উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া করতে সক্ষম হয় ২১৭ রান। ৪৩ রান এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা অলআউট হয় ২২১ রানে। সব মিলে অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৫ রানের লক্ষ্য দিল মুশফিকুর রহীমের দল।
Advertisement
১ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার কিছু আগে সৌম্যর বিদায়ের পর নৈশপ্রহরী হিসেবে মাঠে নামা তাইজুল দিনের শুরুতেই বিদায় নেন। লিওনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাইজুল।
তাইজুলের বিদায়ের পর প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার পর ইমরুলের সামনে সুযোগ ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করার। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যর্থ ইমরুল কায়েস। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে লিওনের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ২ রান।
এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তামিম। তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফ সেঞ্চুরি। তবে লাঞ্চের পর শুরুতেই বিদায় নেন তামিম। পেসার প্যাট কামিন্সের লাফিয়ে উঠা বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দি হন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার আলিম দার কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন স্টিভেন স্মিথ। তাতে পাল্টায় সিদ্ধান্ত আর ভাঙে ৬৮ রানের জুটি।
Advertisement
তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দেখে-শুনে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মুশফিককে। লিয়নের তৃতীয় বলটিকে চারে পরিণত করেন সাকিব। পরের বলটি ওফে ঠেলে দিলেও কোন রান পাননি। ওভারের পঞ্চম বলটি কোন কারণ ছাড়াই উঠিয়ে খেলতে গেলেন সাকিব। বলটি সোজা উপরে উঠে যায় আর মিড অফে কামিন্সের হাতে ধরা পরেন সাকিব। যেন ইচ্ছা করেই নিজের উইকেটটি লিওনকে উপহার দিলেন সাকিব!
বোলিং প্রান্তে নাথান লিওন। ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। লিওন বল করলেন, ব্যাট চালালেন সাব্বির। আউট মুশফিক! কীভাবে? সাব্বির ব্যাট চালালে বল ঠেকানোর চেষ্টা করেন লিওন। লিওনের হাত ছুঁয়ে বলটা সোজা গিয়ে বোলিং প্রান্তের স্ট্যাম্প ভাঙে। তাতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া মুশফিক শিকার হন দুর্ভাগ্যের। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাজঘরে ফেরেন রান আউটে কাটা পড়ে। বিদায়ের আগে করেছেন ৪১ রান।
মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাসির। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে ব্যাট চালাতে হিয়ে উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডের তালুবন্দি হন। শূন্য হাতেই ফিরে যান নাসির। আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন সাব্বির। লিওনের শিকার হওয়া সাব্বির করতে পেরেছেন ২২ রান। মেহেদী হাসান করেছেন ২৬ রান। মিরাজ শিকার লিওনের।
অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার নাথান লিওন। ৮২ রান খরচায় দখলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। অ্যাস্টন অ্যাগার লাভ করেছেন ২টি। আর প্যাট কামিন্সের দখলে গেছে ১ উইকেট।
Advertisement
এনইউ/এমএস