আমাদের গৃহপালিত বা খামারের গবাদি পশুর মাঝে মাঝে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি দেখা দেয়। এতে গবাদি পশুর উৎপাদন কমে যায়। এসব বিষয়ে সবারই প্রাথমিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আসুন জেনে নেই গবাদি পশুর রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে। আজ থাকছে প্রথম পর্ব-
Advertisement
রক্ত আমাশয় গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার ককসিডিয়া বা আইমেরিয়া নামে এক প্রকার প্রোটোজোয়া কৃমির সংক্রমণের ফলে এই রোগ দেখা যায়।
আরও পড়ুন- দুধের উৎপাদন বাড়াবেন যেভাবে
লক্ষণ১. হঠাৎ করে দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা হয়।২. ডায়রিয়া সহজে কমতে চায় না।৩. কয়েকদিন পর পায়খানার সাথে রক্ত ও মিউকাস দেখা যায়। ৪. আমাশয়ের মত লক্ষণ দেখা দেয়।৫. লেজের গোড়ায় রক্ত মিশ্রিত মল লেগে থাকে। ৬. তীব্র কোথ দেওয়ার ফলে অন্ত্র থেকে মল বেরিয়ে আসে। ৭. রেকটাল প্রলাপস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।৮. পশু দুর্বল হয়ে যায়।৯. পশুর খাদ্যে অরুচি দেখা যায় এবং শুকিয়ে যায়।১০. পশুর শরীরে খিঁচুনি দেখা দেয়।
Advertisement
আরও পড়ুন- সখীপুরে ১ টন ওজনের গরু ব্রাহমা
চিকিৎসাপ্রথম দিন প্রতি ৫০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ২৫-৩০ মিলিলিটার করে মাংসে বা চামড়ার নিচে বা শিরায় ডিমিডিন ইনজেকশন দিতে হবে। দ্বিতীয় দিন থেকে ওই মাত্রার অর্ধেক হিসেবে পরপর ৩-৫ দিন প্রয়োগ করতে হবে। অথবা প্রতি ৪০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য একটি সালকাট্রিম বোলাস দৈনিক একবার বা দুইটি বিভক্ত মাত্রায় ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে।
প্রতিরোধ• স্বাস্থ্যসম্মত পালন ব্যবস্থা।• বাচ্চা প্রসবের ঘর বা স্থান পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকা আবশ্যক।• ঠাসাঠাসিভাবে পালন করা উচিত নয়।• পশুর সব খাদ্য ও পানীয়তে যাতে মল লেগে দূষিত না হয়, সে ব্যবস্থা করা।• নির্দিষ্ট সময় ওষুধ খাওয়ালে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
এসইউ/জেআইএম
Advertisement