তিনি ওয়ান ডাউন নন। পুরোদস্তর ওপেনার এবং দেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দুই সফল ওপেনারের একজন। টেস্টে বাংলাদেহসের উদ্বোধনী জুটি মানেই একজন তামিম আরেকজন ইমরুল কায়েস। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে যে তিনটি বড় পার্টনারশিপ আছে তার সবকটারই স্রষ্টা তামিম ও ইমরুল।
Advertisement
মুশফিক, সাকিব ও তামিমের মত ডাবল সেঞ্চুরি হয়তো নেই, কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে খুলনায় ১৫০ রানের দারুণ ইনিংস আছে ইমরুলের।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ওপেন নেমে ২৯ টেস্টে ৩ সেঞ্চুরি ও চার হাফ সেঞ্চুরিতে ইমরুলের রান ১৪৬৬। গড় ২৭.৬৬। ওপেনার হিসেবে সেই পরিসংখ্যানটা আরও সমৃদ্ধ। ওপেনার ইমরুল ২৫ টেস্টে ৪৮ ইনিংসে করেছেন ১২৫৮ রান। গড় ২৭.৩৪। শতরান দুটি। হাফ সেঞ্চুরি চারটি।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম তিন নম্বরে খেলতে নেমে শতরান (১১৫) করা ছাড়া ওয়ানডাউনে নেমে আর একটিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ইমরুল। তিন নম্বরে নেমে ৪ টেস্টে ৭ ইনিংসে তার রান ২০৮। গড় ২৯.৭১। সেটা প্রথম ইনিংসে শতরান করে ফেলায়। এরপর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডাউনে নেমে ৯+৩৪, এ বছর মার্চে কলম্বোর পি সারা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের শততম টেস্টে ৩৪ ও ০।
Advertisement
কিন্তু এমন সফল ওপেনারকে হটাৎ করেই ৩ নম্বরে খেলানো হচ্ছে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম তিন নম্বরে খেলতে নেমে শতরান (১১৫) করা ছাড়া ওয়ানডাউনে নেমে আর একটিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ইমরুল।
তিন নম্বরে নেমে ৪ টেস্টে ৭ ইনিংসে তার রান ২০৮। গড় ২৯.৭১। সেটা প্রথম ইনিংসে শতরান করে ফেলায়। এরপর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডাউনে নেমে ৯+৩৪, এ বছর মার্চে কলম্বোর পি সারা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের শততম টেস্টে ৩৪ ও ০।
পরিসংখ্যান জানিয়ে দিল ২০১৪ সালে প্রথম ওয়ান ডাউনে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমরুল। কিন্তু তার পর আর রান পাননি। রান খরায় ভুগতে ভুগতে ওয়ান ডাউনে নেমে সর্বশেষ দুই ইনিংসে আউট হয়েছেন ০ রানে।
স্পেশালিষ্ট ও সফল ওপেনার হওয়া সত্ত্বেও তিন নম্বরে খেলানো ইমরুল এখন খানিক অস্বস্তিতে। ঢাকা টেস্ট শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে তার মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে, তিন নম্বরে খেলার মেজাজ ও কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করছি আমি। মুমিনুলের মত অতি সফল পারফরমারকে বাইরে রেখে অস্বস্তিতে ভোগা ইমরুলকে তিন নম্বরে খেলানো যে হাথুরুর বড় ভুল, গত দুই ইনিংসের ব্যর্থই তা বলে দেয়। আজ দলের প্রয়োজনে ইমরুলের কাছ থেকে বড় ইনিংসের আশাই সবাই।
Advertisement
কাল দ্বিতীয় দিন খেলা শেষ হবার কয়েক মিনিট আগে ইমরুলের জায়গায় ওপেন করা সৌম্যের উইকেট বিলিয়ে দেওয়া দেখে আফসোস জন্মেছে সবার মনে। ইস যদি ইমরুল ওপেন করতেন, তাহলে হয়তো এভাবে সেট হয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেট বিসর্জন দিতেন না। কোন পজিশন নিয়ে মনে অতৃপ্তি থাকলে স্বাচ্ছন্দে খেলা যায় না। ওপেনার ইমরুলও তিন নম্বরে নেমে স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে পারছেন না। সর্বশেষ যে দুই ইনিংসে খালি হাতে ফিরেছেন প্রতিবার প্রায় জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। কোন ফুটওয়ার্ক ছিল না। আত্মবিশ্বাস কমে গেলেই ব্যাটসম্যানের টেকনিকে ঘাটতি দেখা দেয়। ওয়ান ডাউন থেকে ডিমোশন হওয়া ইমরুলের কী তাই হয়েছে?
এদিকে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল সোমবার পড়ন্ত বিকেলে ‘নৈ প্রহরী’ হিসেবে নামার কারণে ইমরুলকে আজ হয়তো চার নম্বরে খেলতে দেখা যাবে। দেখা যাক ওপেনার ইমরুল আরও নিচে নেমে কি করেন।
এআরবি/এমআর/জেআইএম