২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে প্রত্যক্ষ নির্দেশে খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমান বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরতরে শেষ করতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা ও গুলি চালিয়েছিল।
Advertisement
এই হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪জন নেতাকর্মী নিহত হয় ও ৫০০ জন আহত হয়। এখনও অনেকে গ্রেনেডের স্পিন্টার শরীরে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণ করে শহীদদের স্মরণে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় কোপেনহেগেনের হোমলেট গেইট মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বাবু সুভাষ ঘোষ, মাহবুবুল হক, রাফায়েত মিন্টু, হাসনাত রুবেল, জাহিদুল ইসলাম কামরুল।সভাপতিত্ব করেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করা হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি জাহিদ বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈম বাবু, নূরুল ইসলাম টিটু, সফিউল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার সাইদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল, নাজিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক রনি আলম।
নেতারা বলেন, এ নাগাদ ২০ বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সিন্ডিকেট একত্রে শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার অপচেষ্টা করে চলেছে। তারা মূলত ১৯৭১ এ পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়। তাই বাংলাদেশকে স্থবির করে দিতে এরা শেখ হাসিনাকে শেষ করে দিতে চায়।
মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তিদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। কারণ ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ কখনও হারে না হারতে পারে না।
এমআরএম/আরআইপি
Advertisement