তাকে কেনার জন্য রিয়াল মাদ্রিদই প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিল। মোনাকোর মাত্র ১৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার কাইলিয়ান এমবাপের জন্য ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর (প্রায় ১ হাজার, ৭ কোটি টাকা) প্রস্তাব দিয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ওই সময় শোনা গিয়েছিল, মোনাকো তাকে বিক্রি করতে চায় ১৯০ মিলিয়ন ইউরোয়।
Advertisement
এমবাপেকে নিয়ে রিয়ালের টানাটানি ছিল নেইমারের দলবদলের আগে। ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সা থেকে নেইমারের পিএসজিতে যাওয়ার খবরের পর এমবাপের ইস্যুও যেন চাপা পড়ে যায়। রিয়ালও আর কেন যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলে মোনাকোর এই স্ট্রাইকারকে কিনতে। তবে, পিএসজি লেগেছিল এমবাপের পেছনে। তারা ঘোষণা দেয়, প্রয়োজনের নেইমারের চেয়েও বেশি অর্থ দিয়ে তাকে কিনে নেবে তারা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমবাপে পিএসজিতেই নাম লেখালেন। তবে মূল খেলোয়াড় হিসেবে নয়, ধারে। তবে, এই ধারের বিনিময়ও চোখ কপালে তুলে দেয়ারমত। জানা গেছে, মোনাকো থেকে এমবাপেকে দলে নিতে পিএসজি খরচ করছে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো। সঙ্গে তো এড-অনস আছেই।
ফরাসি পত্রিকা এল ইকুইপে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, পিএসজি আবারও ট্রান্সফার মার্কেটে ঝড় তুলে চুক্তি করিয়ে নিয়েছে এমবাপেকে। তবে তার ক্ষেত্রে চুক্তি হয়েছে মূলতঃ দুই ক্লাবের সঙ্গে। এমবাপেকে লোনে নিয়ে আসা হয়েছে পার্ক ডি ফ্রান্সেসে।
Advertisement
এ নিয়ে বিশ্বের সেরা দুটি সাইনিং করালো পিএসজি। প্রথমে নেইমার। প্রায় ২ হাজার ১১৯ কোটি টাকার বিনিময়ে নেয়া হয়েছে নেইমারকে। এমবাপেকে নেয়া হলো ১৭ শ’ কোটি টাকারও বেশি দিয়ে। নিঃসন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আক্রমণভাগ এখন পিএসজির দখলে।
আইএইচএস/আরআইপি