দেশজুড়ে

আরাকানে অরাজকতা : সীমান্তবাসীদের মাঝে আতঙ্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা, পুলিশ ও মগদের যৌথ নিপীড়নের পাঁচদিন অতিবাহিত হয়েছে। নির্যাতনের মাত্রা বাড়ছেই। আরাকানের আকাশে রহস্যময় একটি হেলিকপ্টার এসে আবার চলে যাওয়ার পরপরই নতুন মাত্রায় গোলাগুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে।

Advertisement

রোববার সন্ধ্যার পর থেকে সোমবার সারাদিন আরাকানে থেমে থেমে গুলি বর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের পর সীমান্তে রোহিঙ্গা উপস্থিতি আগের চেয়ে বেড়েছে। ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তের ওপারে সেনাদের সঙ্গে স্থানীয় মগদের একটি দলকে যেতে দেখে রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সীমান্তের খুব কাছে গোলাগুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় রয়েছে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ঘুমধুম, জলপাইতলী, তুমব্রু পশ্চিমকুল, উত্তর কুল, কলাবাগান, বাইশপাড়ি, চাকমাপাড়া, হেডম্যানপাড়া রেজু আমতলী, আচারতলিসহ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের মাঝে অজানা এক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সিরাজ, শাহজাহান, আলী আকবর, ইমরান বলেন, সোমবার সারাদিন প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের অন্যত্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিজিবি কর্তৃক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

এদিকে সীমান্তে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। মিয়ানমারের ডেকুবনিয়া, ফকিরা বাজার, মিয়া বাজার, উত্তর পাড়া, তুমব্রু থেকে আসা ৫ শতাধিক নারী, শিশু ও পুরুষের মাঝে খিচুড়ি, মুড়ি ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন ঘুমধুম ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ও অন্যরা।

অপরদিকে আরাকানে অরাজকতার পর থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অবস্থান নিয়েছে অনেক নারী ও শিশু। তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা আসতে পারেনি। সীমান্তের ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশপাড়ি, জলপাইতলী, বেতবুনিয়া, কলাবাগান ঘুরে দেখা গেছে, অন্যবারের চেয়ে এবার বেশি সংখ্যক নারী ও শিশু সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অবস্থান নিয়েছে। নারীরা ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে এসেছেন।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

তবে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ভয়ের কোনো কারণ নেই।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/আরআইপি