অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে সৌম্য সরকারের লফটেড শটটি দেখে যে কেউ হঠাৎ মনে করতে পারেন, এটা সম্ভবত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। খেলার শেষ দিকের উত্তেজনা চলছে। ছক্কা-টক্কা না মারলে জয় পাওয়া সম্ভব নয়। তবে সৌম্যর গায়ে সাদা পোশাক দেখে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। সৌম্য নিজেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাকে হঠাৎ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মনে করেছিলেন কি না তা যথেষ্ট গবেষণার দাবি রাখে।
Advertisement
দ্বিতীয় ইনিংসের ২০টি ওভার রয়ে-সয়ে খেলে পার করে দিলেন দুই ওপেনার তামিম এবং সৌম্য। সবাই প্রহর গুনছিলেন, আর দু-একটা ওভারের পরই হয়তো দিনটা ভালোয় ভালোয় শেষ করতে পারবে বাংলাদেশ; কিন্তু সৌম্য সরকারের বিলাসী শট সেই আশার গুড়ে পুরোপুরি বালি ছিটিয়ে দিলো।
২১তম ওভারে অ্যাস্টন অ্যাগারের প্রথম বলেই লং অনের ওপর দিয়ে বলকে সীমানার বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন সৌম্য। এর আগের কয়েক বলে তামিম রান নিতে না পারার কারণেই হয়তো অধৈর্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি। যে কারণে অ্যাগারের অফ স্ট্যাম্পের ওপর থাকা বলটির ফ্লাইট বুঝতে না পেরে খেললেন লম্বা শট। স্পিনারের বলে মিস টাইমিং হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেটাই হলো। বল উঠে গেলো লং অনে।
এ ক্ষেত্রে ভাগ্যও অবশ্য পক্ষে কাজ করলো না সৌম্যর। কারণ উসমান খাজা তিনবারের চেষ্টায় একেবারে মাটির ওপর থেকে ক্যাচটি ধরলেন। দলীয় ৪৩ রানে পড়লো প্রথম উইকেট। এরপর অবশ্য আর বেশিক্ষণ খেলা হলো না। অ্যাস্টন অ্যাগারের পরের ওভারটি করলেন নাথান লিওন। এরপরই দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
Advertisement
দিন শেষে বাংলাদেশের রান ২২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৫। বাংলাদেশের মোট লিড দাঁড়াল ৮৮ রানের। উইকেটে রয়েছেন তামিম ইকবাল ৩০ রানে এবং নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামা তাইজুল ইসলাম শূন্য রানে।
সৌম্য যদি বিলাসী শটটি না খেলতো, তাহলে দিন শেষে স্কোরকার্ডে বাংলাদেশের রান থাকতো কোনো উইকেট না হারিয়ে। হাতে থাকতো পুরোপুরি ১০ উইকেট। সৌম্যর এক ভুলেই সেটা আর হলো না।
আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement