কম্পিউটারের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন হ্যাকার চক্রের মূল হোতা খোরশেদ। বিকাশ এজেন্টদের ৬টি সিম থেকে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা চক্রের অন্য সদস্যদের অবৈধ নিবন্ধন করা ৯৮টি সিমে সরিয়ে নেন তিনি।
Advertisement
সোমবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, সাধারণ বিকাশের একটি নম্ববে ১৫ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করা যায় না। সেজন্য একসঙ্গে অনেক টাকা লেনদেনে ডিভাইস তৈরি করেন এ চক্রের সদস্য হামিদুর রহমান তুষার। ওই ডিভাইসটি বিক্রি করেন বিকাশ এজেন্টদের কাছে। ডিভাইসটি কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ করে একটি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরি করা হয়। পরে সেখানে একসঙ্গে অনেকগুলো বিকাশ সিম ব্যবহার করে এক ক্লিকে বড় অংকের টাকা পাঠানো সম্ভব হয়। তবে ওই ডিভাইসের পাসওয়ার্ড চক্রটি রেখে দেয়। কোনো নম্বরে কত টাকা পাঠানো হচ্ছে- চক্রটি সব মনিটরিং করতে পারে বলেও জানান তিনি।
ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, ডিভাইস তৈরির কারিগর তুষার দীর্ঘদিন মালদ্বীপে ছিলেন। সেখানে একটিমানি ট্রানজেকশন কোম্পানিতে কাজ করেন তিনি।
Advertisement
গতকাল রোববার রাজধানীর রামপুরা থানার বনশ্র্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া ওই প্রতারকচক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত প্রতারক হ্যাকাররা হলেন- খোরশেদ, আবুল বাশার, মো. আরিফুর রহমান, মো. ইকবাল হোসেন অপু ও মো. হামিদুর রহমান তুষার। এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ বিকাশ সিম, ইলেক্ট্রনিং মডেম ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার জব্দ করা হয়।
এআর/এইউএ/জেএইচ/পিআর
Advertisement