জাতীয়

সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার দাবি বিএমএলের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে বর্তমান সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)। এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক বা সহায়ক সরকার এবং বিচারকি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে দলটি।

Advertisement

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসির সঙ্গে বৈঠকে এসব দাবি জানান তারা। এর আগে, সকাল ১১টায় দলটির সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। দলটির নেতৃত্ব দেন সভাপতি এ এইচ কামরুজ্জামান খান। এছাড়া আরো ৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব।

দলটি লিখিতভাবে ইসির কাছে ১১টি দাবি জানায়। এছাড়াও তাদের বক্তব্যে বেশ কয়েকটি দাবি ওঠে আসে। লিখিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, নির্বাচনের পরের ১৫দিন পর্যন্ত মাঠে সেনা রাখতে হবে। কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা যাতে অবাধে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করা, কালো টাকা ও পেশিশক্তি মু্ক্ত নির্বাচন করা, নিরপেক্ষ স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা, কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রকাশ্যে ভোট গণনা শেষে প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টের স্বাক্ষর নিয়ে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা।

Advertisement

দাবির মধ্যে আরো রয়েছে- প্রত্যেক নিবন্ধিত দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে তার পরিবেশ নিশ্চিত করা। নির্বাচনের আগে কমপক্ষে এক বছর আগে সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। নির্বাচনে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে সরকারি সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রচারণা চালানো থেকে বাধ্যতামূলকভাবে বিরত রাখা অথবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সক্ষম ও ইচ্ছুক প্রত্যেক রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দলকে সমান সরকারি সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ নিশ্চিত করা।

প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সম্পূর্ণ দল নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের পরিবেশ নিশ্চিত করা ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল রাজনৈতিক মামলা নির্বাচনের তারিখের অন্তত ৩ মাস আগে প্রত্যাহার করা।

বিকেলে খেলাফত মজলিশের সঙ্গে বৈঠক :আজ বিকেল ৩টায় খেলাফত মজলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, সোমবারের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩০ আগস্ট বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং বিকেল ৩টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সঙ্গেও বসবে ইসি।

Advertisement

এ ছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও বিকেল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ হবে। ১২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় ইসলামী ঐক্যজোট এবং ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় কল্যাণ পার্টি ও বিকেল ৩টায় ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি।

এইচএস/এআরএস/এমএস