হজ ও ওমরাহ থেকে সৌদি আরবের রাজস্ব আয় ২০২২ সালের মধ্যে ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
হজ ও ওমরাহ মৌসুমে সৌদিতে পরিবহন, আবাসন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট এবং ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ আয় আসবে। খবর- আরব নিউজের।
সৌদি আরবের রিয়েল এস্টেট ও বিনিয়োগ কমটির সদস্য মুহসিন আল-শরিফ বলেন, প্রতিবছর হজ থেকে আসা রাজস্ব জাতীয় অর্থনীতিতে প্রবাহ হিসেবে কাজ করছে। এটি সৌদি সরকার ঘোষিত ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, এটি জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে ও বৃহৎ বাজার তৈরি করবে। যেখানে শুধু মৌসুমী কর্মসংস্থান নয়, বরং স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
Advertisement
তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন হজ ও ওমরাহ যাত্রী আনার বাস্তব পরিকল্পনার কথা জানান। যার মাধ্যমে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদীনার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সুসংহত অর্থনৈতিক কাঠামোয় নিয়ে আসা হবে।
হজযাত্রীদের মাধ্যমে সৌদিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশের সম্ভাবনাও তুলে ধরেন তিনি।
আগামী ৫ বছরেই বার্ষিক রাজস্ব আয় ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে ছোট একটি বিনিয়োগকারী গ্রুপ বিদেশি কর্মীদের শোষণ ও পুঁজি নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের হজ ও ওমরাহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত, যাতে এ থেকে আরও বেশি রাজস্ব উঠে আসে।
তিনি জানান, হজ ও ওমরাহ থেকে প্রাপ্ত ১৫০ বিলিয়ন অর্থ সরিয়ে না নিয়ে বিভিন্ন খাতে পুনঃবিনিয়োগ করা উচিত। এর ফলে শুধু হজ সংশ্লিষ্ট অন্তত ১০ হাজার চাকরির ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নীতি-নির্ধারকরা।
Advertisement
তিনি আরও জানান, বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মুনাফা প্রাপ্তির কারণে হজ ও ওমরাহর আর্থিক দিকটি হেলা করার সুযোগ নেই। এ আয় মক্কা ও মদীনাতেও বিস্তৃত হচ্ছে। এটা শুধু হজ ও ওমরাহ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য নয় বরং দেশটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসনসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বর্ধিত করছে যা দেশটির শিল্প-বাণিজ্যের দুই তৃতীয়াংশের বেশি।
এসআর/এমএস