জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী মিশনের প্রধান আইভান ভেলাসকুয়েজ গোমেজকে দ্রুত গুয়েতেমালা ছেড়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস।
Advertisement
রোববার প্রেসিডেন্ট মোরালেসের ওই আদেশের একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ পায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তবে প্রেসিডেন্টের ওই আদেশের কিছু পরই তা স্থগিত করে মধ্য আমেরিকার দেশটির সাংবিধানিক আদালত। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আদালতের স্থগিতাদেশ বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের অধিকার আদালতের নেই।
২০১৫ সালের নির্বাচনে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে মোরালেসের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের তদন্ত করছিলেন জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী মিশনের কর্মকর্তা।
Advertisement
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ওই ভিডিওবার্তায় প্রেসিডেন্ট কলম্বিয়ান আইনজীবী জাতিসংয়ের ওই কর্মকর্তাকে তার দেশে একজন অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট হিসেবে, জনগণের স্বার্থে ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে আমি জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তাকে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করছি। তাকে অবিলম্বে গুয়েতেমালা ত্যাগের নির্দেশ দিচ্ছি।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট মোরালেসের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুসরেসিয়া হার্নান্দেজ ম্যাক। তিনি বলেন, নৈতিকভাবে ও রাজনৈতিকভাবে এই সরকারের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্টের আদেশের কিছু পরই সাংবাধিনিক আদালতের তিন বিচারকের মধ্যে দুই বিচারক ওই সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেন।
Advertisement
কিন্তু পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে প্রেসিডেন্ট তা বাতিল করে বলেন, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে মোরালেস ছিলেন দেশটির জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা। প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ডিঙিয়ে গত সাধারণ নির্বাচনে দুর্নীতি রোধ ও দুর্নীতি থেকে মুক্তি আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় আসেন তিনি।
‘কোনো দুর্নীতিবাজ নয়, কোনো চোরও নয়’- ছিল কৌতুক অভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট বনে যাওয়া মোরালেসের নির্বাচনী স্লোগান।
এসআর/জেআইএম