গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়েদা আশিয়া আশরাফী পাপিয়াসহ ২৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।রোববার মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ ওই ২৮ আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার বাকি আসামিরা জেল হাজতে রয়েছেন।গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকৃত অন্যারা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদল সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিবুর নবী খান সোহেল, যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ইয়াছিন আলী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শেখ শিবলী নোমানীসহ ২৮ জন।মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানার জনসেবা প্রকল্প অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ির গ্লাস ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় পর ওই দিনই মিরপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খন্দকার রাজিব আহমেদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ৪২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।বিএ/পিআর
Advertisement