জাতীয়

গাবতলীতে আসছে কোরবানির পশু

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র পাঁচদিন। এরই মধ্যে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে কোরবানির পশু আসা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে পশু।

Advertisement

রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, বেপারিরা দেশি-বিদেশি গরু, মহিষ ও বিভিন্ন জাতের ছাগল-ভেড়া নিয়ে বসে আছেন। হাটে এবার দেশির চেয়ে বিদেশি গরুর সংখ্যা বেশি। তবে বিক্রি না হওয়ায় অলস সময় পার করছেন তারা।

রাজশাহী থেকে আগত বেপারি আবদুল মজিদ ৫০টি গরু নিয়ে শনিবার হাটে এসেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি।

তিনি বলেন, দু-তিনজন ক্রেতা গরু দেখেছেন। তবে দামে না মেলায় অপেক্ষা করছি। আশা করছি মঙ্গলবার থেকে হাট পুরোদমে জমবে।

Advertisement

তিনদিন আগে হাটে আসা বেপারি কাশেম মিয়া এনেছেন ২০টি গরু। তবে ক্রেতা না থাকায় অলস সময় পার করছেন বলে জানান তিনি।

পুরো হাট ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ গরুর দাম ৮০-৯০ হাজার টাকা হাঁকানো হচ্ছে। তবে হাটের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রয়েছে নজরকারা ১০টি গরু। দাম দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত। গরুগুলো এসেছে মানিকগঞ্জ, পাবনা ও ময়নমসিংহ থেকে।

বড় গরুর এক বিক্রেতা জানান, হাটের প্রথম দিকে গরুগুলো এনেছি। তবে এখন পর্যন্ত একটিও বিক্রি হয়নি। তার বিশ্বাস, দু’একদিনের মধ্যে গরু বিক্রি শুরু হবে।

মানিকগঞ্জ থেকে কৃষক ইসলাম শেখ দুটি দেশি গরু এনেছেন। তার সঙ্গে দেখা হাটের পশ্চিম পাশে।

Advertisement

তিনি বলেন, নিজে পালন করা দুটি বলদ নিয়ে রোববার সকালে এসেছি। একটির দাম ১ লাখ ৩০ হাজার ও অপরটির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম উঠলে গরু দুটি বিক্রি করবেন।

গরু নিয়ে আসতে রাস্তায় ঝামেলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তায় কোনো ঝামেলা হয়নি। তবে ট্রাক চালকের সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা চুক্তি করে মানিকগঞ্জ থেকে এসেছি।

গাবতলী হাটের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান হানিফ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয়রা সম্পৃক্ত থাকায় হাটের ভেতরে-বাইরে কোনো চাঁদাবাজি নেই। তাই সুষ্ঠুভাবে গাবতলী হাট পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার রাত থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৩০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা দামের গরু উঠেছে। বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পশুর হাট শুরু হবে। এবার প্রতি গরুর দামের ওপর শতকরা ৫ টাকা হাসিল ধার্য করা হয়েছে।

ইজারাদার কমিটির আরেক সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, বছরজুড়েই গাবতলী পশুর হাটে গরু পাওয়া যায়। তবে ঈদকে ঘিরে চলে ভিন্ন আয়োজন। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসবে ক্রেতা ততই বাড়বে। বিষয়টি চিন্তা করেই হাটের সার্বিক সৌন্দর্য রক্ষার বিষয়টি খেয়াল রাখছি।

এদিকে গাবতলী পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। হাটের বাইরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। জাল টাকা রোধে হাটের মোড়ে মোড়ে নোট পরীক্ষণ যন্ত্র বসানোর প্রস্তুতি চলছে।

এমএইচএম/এএইচ/আইআই