খেলাধুলা

ইমরান-বোথাম-সোবার্সদের পেছনে ফেলে সাকিবের রেকর্ড

এমনিতেই বেশ কয়েকটি রেকর্ড যেন সাকিব আল হাসানের নামের পাশে ঘুর ঘুর করছে। কয়েকটি রেকর্ড তো ইতিমধ্যেই জন্ম দিয়ে ফেলেছেন তিনি। ৫০তম টেস্ট খেললেন। সঙ্গে বল হাতে যদি অসিদের ৫ উইকেট নিতে পারেন, তাহলে চতুর্থ বোলার হিসেবে তিনি প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে ৫টি করে উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়ে ফেলবেন। শুধু তাই নয়, আগেই এক টেস্টে ১০ উইকেট প্লাস সেঞ্চুরি করে ইমরান-বোথামদের পাশে নিজের নাম লিখে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান।

Advertisement

এবার এসব কিংবদন্তীকে ছাড়িয়ে গিয়ে নতুন রেকর্ডের জন্ম দিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। পেছনে ফেললেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স, পাকিস্তানের ইমরান খান, ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম, ভারতের কপিল দেব কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিসদের মত কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ টেস্টের একাদশে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যারিয়ারে ৫০তম টেস্ট ম্যাচে নাম উঠে গেলো সাকিবের। তবে কিংবদন্তি অলরাউন্ডারদের পাশে নিজের নাম লেখাতে পারবেন কি না সেটা হয়তো অজানাই ছিল। তারওপর শুরুতে মাত্র ১০ রানে বাংলাদেশকে বসিয়ে রেখে টপাটপ তিন উইকেট তুলে ফেলার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাইলফলকে পৌঁছাতে পারবেন সাকিব সে নিশ্চয়তাও ছিল না।

শেষ পর্যন্ত তামিমকে সঙ্গে নিয়ে অসাধারণ খেললেন সাকিব আল হাসান। দু’জনের ১৫৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে আসে। সাকিব আউট হন ৮৪ রান করে।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগের ৪৯ টেস্টে সাকিবের রান ছিল ৩৪৭৯। এই ৮৪ রানের মধ্য দিয়ে তার ক্যারিয়ারে যোগ হলো মোট ৩৫৬৩ রান। ক্যারিয়ারে উইকেট সংখ্যা আগেই ১৫০টি ছাড়িয়ে গিয়েছেন সাকিব। টেস্টে তার মোট শিকার সংখ্যা ১৭৬টি।

টেস্টে দেড়শ উইকেটের সঙ্গে ৩৫০০ কিংবা তার বেশি রান করার মাইলফলকে সাকিব নাম লেখালেন সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে। এ ক্ষেত্রে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন বেশ কয়েকজন কীর্তিমান ক্রিকেটারদের। যাদের নাম শুনলেই চমকে উঠবে যে কেউ। স্যার গ্যারি সোবার্স, ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেব, রবি শাস্ত্রী, শন পোলক, জ্যাক ক্যালিস, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। এরা সবাই এই মাইলফলকে এখন পিছিয়ে সাকিবের চেয়ে।

সাকিবের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্যারিবীয় কিংবদন্তী স্যার গ্যারি সোবার্স। তিনি এই কীর্তিতে পৌঁছেছেন ৬৩ টেস্ট খেলার পর। দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিসের লেগেছিল ৬৯ টেস্ট। ভারতের রবি শাস্ত্রী এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন ৭৮ টেস্ট খেলে। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের এই মাইলফলকে পৌঁছাতে লেগেছে ৮২ টেস্ট। কপিল দেব খেলেছেন ৮৫ টেস্ট। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির ৯৫ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলকের লেগেছিল ১০২ টেস্ট।

সাকিব আল হাসান যদি অন্তত ১০০টি টেস্টও খেলতে পারতেন, তাহলে নিজের রেকর্ডকে কোথায় নিয়ে গিয়ে শেষ করতেন তিনি!

Advertisement

আইএইচএস/জেআইএম