বৃষ্টির চোখ রাঙানি ছিল আগে থেকেই। ঢাকা টেস্টের প্রায় তিনদিনই বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার কথা। তবে ভাগ্য ভালো, সকালে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় টস এবং খেলা শুরু হয়েছিল। ভালোয় ভালোয় প্রথম দিনের খেলা গড়িয়েছে তৃতীয় সেশন পর্যন্ত। দিনের খেলা ৬৬.৪ ওভার পর্যন্ত হওয়ার পরই বৃষ্টি নামল মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। পড়িমরি করে গ্রাউন্ডসম্যানরা উইকেট ঢেকে দিলেন। ক্রিকেটাররা উঠে গেলেন ড্রেসিং রুমে। সুতরাং বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।
Advertisement
তবে বৃষ্টি খুব বেশিক্ষণ ভোগায়নি। অল্প কিছুক্ষণ পরই থেমে যায় বৃষ্টি। যে কারণে সব মিলিয়ে ৩৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে তৃতীয় সেশনের খেলা।
বৃষ্টির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের রান ৬৬.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান। নাসির ব্যাট করছিলেন ১১ রান নিয়ে এবং তার সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট করছিলেন ৬ রান নিয়ে। ৮৪ রান করে সাকিব এবং ৭১ রান করে আউট হয়েছেন তামিম ইকবাল।
তামিম-সাকিবের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংসটাকে বড় করার দায়িত্ব ছিল অধিনায়ক মুশফিকের। তবে চা বিরতির পরই বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক।
Advertisement
এদিকে শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরলেন ৫০তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা তামিম-সাকিব। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান গড়েন ১৫৫ রানের জুটি। এরপর ম্যাক্সওয়েলের বলে কাট করতে গিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। বিদায়ের আগে খেলেছেন ৭১ রানের ইনিংস। তার ১৪৪ বলের ধৈর্যশীল ইনিংসটি সাজানো পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায়।
তামিমের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি আরেক ব্যাটসম্যান সাকিবও। চা বিরতির আগে নাথান লিওনের বাড়তি বাউন্সে খোঁচা মেরে স্মিথের তালুবন্দি হন সাকিব।
এর আগে শেরেবাংলায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হ্যাজেলউডকে চমৎকার বাউন্ডারি মেরে শুরু করা সৌম্য পরের ওভারেই কামিন্সের পেসে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন। ওভারের চতুর্থ বলে ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপের উপর দিয়ে ভাগ্যগুণে বাউন্ডারি পান সৌম্য। তবে পরের বলে ভাগ্য আর সহায় হয়নি। প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে স্লিপে পিটার হ্যান্ডসকমের হাতে ধরা পড়েন বাঁ-হাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
নিজের পরের ওভারেই পরপর দুই বলে ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমানকে সাজঘরে ফেরান কামিন্স। জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে ঠিকমতো পারেননি ইমরুল। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে আসা ক্যাচ গ্লাভসে জমান ম্যাথু ওয়েড। পরের বলে উইকেটররক্ষক ওয়েডকে সহজ ক্যাচ দেন সাব্বির। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম