টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভারে স্কোর বোর্ডে ১০ রান যোগ করতেই বাংলাদেশের তিনজন প্রথম সারির ব্যাটসম্যান সাজঘরে। দলের হয়ে হাল ধরলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চাশতম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা তামিম-সাকিব।
Advertisement
নিয়তিই যেন তাদের হাল ধরতে বাধ্য করলেন। কারণ আগে থেকেই তারা বলছিলেন, পঞ্চাশতম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে চান। প্রকৃতি বলি কিংবা অজি পেসার কামিন্সের কথাই বলি, সুযোগ করে দিয়েছেন এই দুইজনকে ভালো কিছু করার।
তিন উইকেট যাবার পর এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ৮৬ রানের একটি অনাবদ্য ইনিংস খেলে। তবে সাকিবের ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি টেস্ট খেলছেন। তিনি ওয়ানডে মেজাজে খেলে যাচ্ছিলেন। তবে ধৈর্যশীল ব্যাটিং করে যাচ্ছেন তামিম।
লাঞ্চে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান। তামিমের সংগ্রহ ৯১ বলে ৩৩ আর সাকিবের ৬২ বলে ৪৮। অজীদের হয়ে প্যাট কামিন্স একাই তিনটি উইকেট তুলে নেন।
Advertisement
শেরে বাংলায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হ্যাজেলউডকে চমৎকার বাউন্ডারি মেরে শুরু করা সৌম্য পরের ওভারেই কামিন্সের পেসে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন। ওভারের চতুর্থ বলে ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপের উপর দিয়ে ভাগ্যগুণে বাউন্ডারি পান সৌম্য। তবে পরের বলে ভাগ্য আর সহায় হয়নি। প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে স্লিপে পিটার হ্যান্ডসকমের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
নিজের পরের ওভারেই পরপর দুই বলে ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমানকে সাজঘরে ফেরান কামিন্স। জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে ঠিকমতো পারেননি ইমরুল। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে আসা ক্যাচ গ্লাভসে জমান ম্যাথু ওয়েড। পরের বলে উইকেটররক্ষক ওয়েডকে সহজ ক্যাচ দেন সাব্বির। দুই জনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এমএএন/এমআর/পিআর
Advertisement