সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে যেকোনো মূল্যে রাস্তা সচল রাখা হবে। সে লক্ষ্যে ৭০ শতাংশ রাস্তা সচল করা হয়েছে, ঈদযাত্রা পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই রাস্তাগুলো পুরোপুরি সচল করা হবে। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ প্রশাসন ও আমি নিজে সার্বক্ষণিক সড়কে থাকব। গতকাল শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর কবিরহাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর এই কথা যেন কেবল কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। মানুষজন কাজে এর প্রমাণ দেখতে চান।
Advertisement
আগামী ২ সেপ্টেম্বর পালিত হবে ঈদুল আজহা। ঈদে ঘরমুখো মানুষজন রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে বাস, লঞ্চ, রেলস্টেশনে মানুষের ভীড় বেড়েছে। এই সময়ে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তারও আগে টার্মিনাল থেকে বের হতে এবং প্রবেশ করতে গিয়েই যানবাহনগুলোর লেগে যাচ্ছে অনেক সময়। সড়ক পথে রাজধানী থেকে বের হওয়া ও প্রবেশের মূল তিনটি পথ গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে লোকজনকে পোহাতে হচ্ছে নানা ঝক্কি। এ কারণে এখানেই অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে জরুরিভিত্তিতে দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৪০ জেলায় যাতায়াতে গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালের আগে-পরে রাতে দীর্ঘ যানজট হচ্ছে। এই পথের মূল সমস্যা অব্যবস্থাপনা ও যানবাহনের এলোমেলো চলাচল। মহাখালী টার্মিনাল থেকে বাস আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী-ভোগড়া বাইপাস ও টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। কিন্তু এই পথে খানাখন্দ ও বাড়তি চাপে যানজট হচ্ছে। আর গর্ত-জলাবদ্ধতার কারণে যাত্রাবাড়ী হয়ে পূর্বাঞ্চলের যাত্রাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সায়েদাবাদ টার্মিনালে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।
সড়কপথে রাজধানী ঢাকা থেকে বের হওয়ার এবং প্রবেশের মূল তিনটি পথ চালু রাখতে হবে যে কোনো মূল্যে। মূলত গাড়িগুলো এলোপাতাড়ি চলাচলের কারণেই যানজট লেগে থাকে। এজন্য চালকরা যাতে শৃঙ্খলা মেনে চলে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে আরো বাড়াতে হবে পুলিশি তৎপরতা। যে কোনো মূল্যে তিনটি বাস স্টেশনকে সচল রাখতে হবে। মানুষজন ঈদযাত্রায় বেরিয়ে শুরুতেই যেন ধাক্কা না খায়।
Advertisement
এইচআর/এমএস