অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের প্রিভিউর পাশাপাশি দু’দলের ভক্ত-সমর্থকরা আরও একটি খবর খুব মন দিয়ে পড়ছেন। তাহলো আবহাওয়ার পূর্বাভাস। কারণ, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে।
Advertisement
এবার এমনিতেই সরণাতীতকালের মধ্যে অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এখনো হচ্ছে। আজও রাজধানীর কোথাও না কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। অবিরাম ও ভারী বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত। রাজধানী ঢাকা আর বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জলবদ্ধতা আর খানাখন্দ তৈরি হয়ে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
সে জলাবদ্ধতা খানিক কমলেও বৃষ্টির উপদ্রব বন্ধ হয়নি এখনো। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাচ্ছে, ঢাকা টেস্টের প্রায় পাঁচদিনই বৃষ্টি হতে পারে।
আগামীকাল রোববার ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা শতকরা ৯০ ভাগ। পরদিন বজ্রসহ বৃষ্টির ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার খেলার তৃতীয় দিনও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। চতুর্থ দিন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে আসবে। আবার ৩১ আগস্ট টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।
Advertisement
আবহাওয়ার এই পূর্বভাস সত্যি হলে প্রথম টেস্টের ভাগ্য অনিশ্চিত। এমন পূর্বাভাস থাকার কারণে ঘুরে ফিরে বার বার বৃষ্টির কথাই উঠছে। আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও বৃষ্টির প্রসঙ্গ উঠল। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমও চিন্তিত।
এক বুক শঙ্কা নিয়েই টাইগার অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, ‘আবহাওয়া খুব বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে; কিন্তু কি আর করা? প্রকৃতির ওপর তো আর কারো হাত নেই। দুই দলের জন্য গরমও হতে পারে। এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। আমরা প্রত্যেকেই পেশাদার ক্রিকেটার। আমাদের এটা মানিয়ে নিতে হবে। তবে সত্যি বলতে কি, বৃষ্টি হলে ব্যাটিংটা একটু কঠিন হতে পারে। একটা ব্যাটসম্যান সেট হলে পরবর্তীতে অন্য কাউকে গিয়ে আবার সেট হতে হয়। এটা একটু কঠিন।’
প্রতিদিন একটু একটু করে বৃষ্টি হলে পাঁচদিনের অন্তত এক থেকে দেড় দিন কাটা যেতে পারে। এমন শঙ্কা থেকে মুশফিক বলে উঠলেন, ‘থেমে থেমে বৃষ্টি হয়ে যদি তিন-চারদিনের টেস্ট ম্যাচ হয়, তাহলেও ভালো একটা টেস্ট ম্যাচ হতে পারে।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement