দেশজুড়ে

সীমান্তে বিজিপির ফাঁকা গুলি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুর ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ক্যাম্প থেকে ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দমন-নিপীড়ন ও নির্যাতনের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সীমান্তের জিরোপয়েন্টে জড়ো হয়েছে হাজারো রোহিঙ্গা। এদের ক্যাম্প আক্রমণকারী ভেবে ভীতি সঞ্চারে তারা (বিজিপি) ফাঁকা গুলি করেছে বলে দাবি করেছেন কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) লে. কর্নেল আনোয়ারুল আজিম।

Advertisement

শনিবার বেলা দেড়টার দিকে এ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর সীমান্তে সতর্কতা আরও জোরদার করা হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

লে. কর্নেল আনোয়ারুল আজিম বলেন, রাখাইন রাজ্যে গতকালের হামলার পর নিপীড়নের ভয়ে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় জিরোপয়েন্টে এসেছে। শুক্রবার ভোর থেকে বিজিবি কঠোর তৎপরতায় তাদের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করছে।

তিনি বলেন, জিরোপয়েন্টে জমায়েত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তারা ওপারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির চৌকিতে হামলা করতে পারে- এ ভয়ে আত্মরক্ষায় ক্যাম্প থেকে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে বিজিপি। ভীতি সঞ্চারে এটি করা হয়েছে। গুলি বর্ষণের আওয়াজ শুনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এমন উত্তরই দিয়েছে বিজিপি সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনার পর উত্তেজনা আর শঙ্কার মধ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী স্থল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশেরে আশায় শুক্রবার থেকে নাফ নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীরে বসে আছে অসহায় কয়েক হাজার নারী-শিশু-বৃদ্ধ।

এদিকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। শুক্রবার ১৪৬ জন এবং শনিবার সকাল পর্যন্ত ৭৩ জনকে আটকের পর মানবিক সহায়তা দিয়ে আবারো মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। মুসলিম রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ মিয়ানমার। চলতি অস্থিরতায় আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকতে সীমান্তে জড়ো হয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের জঙ্গি তৎপরতাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম

Advertisement