‘মায়ের পেটের ভাই না হলেও রাজ্জাক ভাই ছিলেন আমার ভাইয়ের মতো। উনি আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো আদর, শাসন করতেন। আমরা ছিলাম রক্তের বাঁধনে বাধা রাজ্জাক-ফারুক।
Advertisement
যতদিন বাঁচব তাকে আমার বড় ভাইয়ের আসনে রাখব। বিভিন্ন মিডিয়ায় ছবি দেখেছি আমি আর আলমগীর মিলে রাজ্জাক ভাইয়ের গালে চুমু খাচ্ছি। ভাইয়ের মতো না হলে এটা পারতাম না।’
চলচ্চিত্র পরিবারের আয়োজনে নায়ক রাজ্জাকের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে এভাবে স্মৃতিচারণ করছিলেন চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক অভিনেতা ফারুক। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র পরিবার গঠিত হওয়ার আগে রাজ্জাক ভাই আমাকে একদিন ডেকেছিলেন। বলেছিলেন, ফারুক এফডিসিতে আবার কী হচ্ছে? তুই একটু দেখনারে ভাই! আমি বলেছিলাম এত বড় দায়িত্ব আমার পক্ষে একা নেয়া সম্ভব না ভাই। তারপরও তিনি আমাকে এই দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন।’
ফারুক বলেন, ‘তাকে সবাই নায়করাজ, মহানায়ক এসব উপাধি দিয়েছেন। এসব কোনোটাই মিথ্যা নয়। কিন্তু আমার কাছে তিনি আমার ভাই, আমার বড় ভাই ছিলেন। আমার আর তার মধ্যে যে সুন্দর সুসম্পর্ক ছিল তার বাড়ির মানুষও জানত না। আমাদের প্রতিযোগিতা ছিল। তবে সেটা অনস্ক্রিনে। স্ক্রিনের বাইরে আমরা ছিলাম খুব ঘনিষ্ঠ। আমি সবসময় তাকে সম্মান করেছি। তিনি কখনও বলতে পারবেন না তার সঙ্গে বেয়াদবি করেছি।’
Advertisement
এ অভিনেতা আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষকে আমি বলতে চাই অন্তত একবার রাজ্জাক ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন বেহেশতবাসী হন। আল্লাহ আমার ভাইকে অবশ্যই ভালো রেখেছেন।’
শোকসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সোহেল রানা, সুচন্দা, রোজিনা, আলমগীর, ফেরদৌস, নূতন, ওমর সানী, সম্রাট, আমজাদ হোসেন, এফডিসির এমডি তপন কুমার, মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, বাপ্পী, প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার আহমেদ নওশাদ, প্রযোজক খসরু প্রমুখ।
আলোচনা সভার সঞ্চালক ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
এনই/এলএ/আরআইপি
Advertisement