হজ এজেন্সি ‘মদিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল’। ভিসা করার জন্য ৯৩ হজযাত্রীর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে অফিস বন্ধ করে পালিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুল ইসলাম। এতদিন নয়ছয় বুঝিয়ে রাখলেও বিমানের শেষ হজ ফ্লাইটের দিন ৯৩ হজযাত্রী প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। দুপুরে তারা হজক্যাম্প এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন। তাদের মিছিল শুরু হলে হজ অফিস কর্মকর্তাদের কাউকে দফতরে পাওয়া যায়নি।
Advertisement
মিছিলকারী হজযাত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, তিনি তার বন্ধু সিরাজুল ইসলামসহ মোট ৬ লাখ টাকা দিয়েছেন ‘মদিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল’র মালিক সাইফুল ইসলামের হাতে। তিনি আমাদের ২০ আগস্টের মধ্যে ফ্লাইট দেয়ার কথা বলেছিলেন। ১৯ তারিখের পর অফিস বন্ধ করে তিনি পালিয়েছেন। আমরা এই প্রতারকের শাস্তি চাই, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এসময় তিনি অঝোরে কেঁদেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন করছে। এবার হজ এজেন্সিগুলোর গাফিলতি ও অতি মুনাফার লোভের কারণেই একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। হজ ফ্লাইট শুরুর পর থেকে ভিসা জটিলতায় ও হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত কারণে প্রায় ২৪টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
নিয়ম অনুসারে, হজযাত্রীদের ফ্লাইটের আগেই সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করে ভাড়ার রসিদ ও বিমানের টিকিট নিশ্চিত করে হজ অফিস থেকে ডিও লেটার নিতে হয়। সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া না করার কারণে অনেক হজ যাত্রী ভিসা পেয়েও যেতে পারছেন না। তবে এ সমস্যা সমাধান অনেকাংশে হয়ে গেছে বলে জানান হজ অফিস পরিচালক এম সাইফুল ইসলাম।
Advertisement
আরএম/জেডএ/আরআইপি