খেলাধুলা

তিন পেসার খেলানোর পক্ষে কোচ সারোয়ার

বাংলাদেশের আবহাওয়াতে কাগজে-কলমে চলছে শরৎকাল। কিন্তু আবহাওয়ার চরিত্র যেন ঠিক শরতের মতো কথা বলছে না। এখনও সেই বর্ষার চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। ফলে নিয়মিতই বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকাতে। চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের কপালে; শেষ পর্যন্ত ঢাকা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়ায়। তবে এই আবহাওয়ার সুবিধা নিয়ে তিন পেসার খেলানোর পক্ষে দেশের অন্যতম সেরা কোচ সারোয়ার ইমরান।

Advertisement

ঢাকা টেস্টের দল কেমন হতে পারে? পেস না স্পিন অ্যাটাক দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বেশি কাবু করা যাবে- এসব বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন ২০১০ সালে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী এই কোচ।

তার মতে, মিরপুরে প্রথম দিনে পেস কিছুটা বেশি হবে। পেসকেই তাই বেশি গুরুত্ব দিতে বললেন সারোয়ার, ‘মিরপুরে আমার মনে হয় কিছুটা পেস হবে। প্রথম দিনের শুরুতে পেসটা বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে একাদশে তিন পেসার খেলানো উচিত বলে আমি মনে করি। আবহাওয়ার অবস্থার ওপর ভিত্তি করে তিন পেসার খেলানো উচিত।’

আর তিন পেস নির্ভর দল করে দুই স্পিনার খেলানোর পক্ষে এই কোচ। তিনি বলেন, ‘যেহেতু তিন পেসার খেলালে ভালো সেক্ষেত্রে একজন স্পিনার কম খেলানোর পক্ষে আমি। দু'জন স্পিনার খেলানোই ভালো। তাহলে পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।’

Advertisement

বাংলাদেশের চেয়ে অসি স্পিনকেই বেশি এগিয়ে রাখলেন এই অভিজ্ঞ বাংলাদেশি কোচ। তিনি মনে করেন, ‘আসলে দলে একটা লেগ স্পিনার থাকলে ভালো হত। যেহেতু আমাদের লেগ স্পিনার নাই। এটা একটা বিরাট ফ্যাক্ট। সাকিব, মিরাজ, নাসিররা বল করবে। তবে টেস্টে স্পিন বল করার ক্ষেত্রে আমাদের থেকে ওদের বোলাররা এগিয়ে থাকবে।’

তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা ও হোম কন্ডিশনের জন্য বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছেন এই কোচ, ‘আর আমাদের রয়েছে তামিম, সাকিব, মুশফিকদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। যেহেতু আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, সেহেতু আমাদের সুবিধা কিছুটা বেশি থাকবে। আর যদি উইকেট স্পিন সহায়ক হয়, তাহলে ওদের (অস্ট্রেলিয়ার) জন্য কিছুটা অসুবিধা হবে। তবে আমরা যদি লো বাউন্সি উইকেটে খেলি, তাহলে আমাদের জন্য খুবই ভালো।’

ইমরুলের পজিশন নিয়ে সারোয়ার বলেন, ‘আসলে ইমরুলেরে ক্ষেত্রে আমি বলব, ওপেনাররা ওপেনিং বা তিনে; দুই জায়গাতেই খেলতে পারে। তো ওপেনিংয়ে খেলা বা তিনে খেলা নিয়ে কোনো সমস্যা হয় না।’

অস্ট্রেলিয়া দলকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে সারোয়ার বলেন, ‘আসলে ২০০৬-এর বাংলাদেশ টিমটা অস্ট্রেলিয়া টিমের থেকে দুর্বল ছিল। তারপরও আমরা ভালো খেলেছি। অস্ট্রেলিয়ার তখন প্রথম সারির একটা দল ছিল। তবে এবারের দলটা কিছুটা নতুন। কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় আছে। তবুও আমি নতুনই বলব। অনেকের টেস্ট খেলার সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু ওদের ভালো স্পিনার এবং ভালো ব্যাটসম্যান আছে। পেস বোলারও খারাপ না।’

Advertisement

নিজেদের কন্ডিশন এবং খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রেখেছেন ইমরান। তার মতে, ‘তবুও যেহেতু নিজেদের মাঠে খেলা। সেহেতু আমরা ম্যাচ জেতার জন্যই নামব। খেলোয়াড়দের মনোবলটা অনেক ভালো। সেদিন সাকিব বলেছে যে তারা দুটি ম্যাচই জিততে চায়। যেটা খুবই ভালো। আগে কিন্তু এই মনোবলটা ছিল না। এটাই একটা বিরাট ব্যাপার যেটা আমাদের এগিয়ে রাখবে।’

আগে অনেক মতামতই দেয়া হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কি ঘটে তা দেখতে কোটি ক্রিকেট-ভক্তকে অপেক্ষা করতে হবে খেলার শেষ দিন পর্যন্ত। তবে সবকিছু দেখেশুনে ভালো কিছুর আশা করতেই পারে বাংলাদেশ।

এমএএন/এনইউ/এমএস