খেলাধুলা

মারুফুলের আপসোস টিটুর স্বস্তি

গোলশূন্য ড্রয়ের পর চট্টগ্রাম আবাহনী ও আরামবাগের ডাগআউটের চিত্রটা যেমন হওয়ার ছিল, হলো তার উল্টো। দুই দলের শক্তির যে পার্থক্য তাতে চট্টগ্রাম আবাহনীকে রুখে দিয়ে আরামবাগের কোচ মারুফুল হকের তো অট্টহাসি দেয়ার কথা। কিন্তু ম্যাচের পর তার উওপর যেন ভর করে রাজ্যের হতাশা। আর চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ সাইফুল বারীর বুক থেকে যেন বের হলো স্বস্তির নিঃশ্বাস-প্রথম হার থেকে যে বেঁচে গেলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গতবারের রানার্সআপরা।

Advertisement

ম্যাচ শেষে স্কোরলাইন গোলশূন্য। কিন্তু হতে পারতো একাধিক গোল। দুই দলের যে সুযোগগুলো নিষ্ফলা হয়েছে তার মধ্যে আরামবাগের দুটো ছিল বেশি সহজ। গোল হলে দুটির সঙ্গেই জড়িয়ে থাকতো নাইজেরিয়ান বুকোলা ওলালেকানের নাম-একটি গোল দিয়ে অন্যটির যোগান দিয়ে। লিগে আরামবাগকে প্রথম জয় এনে দেয়া এ নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারের হেড গোললাইন থেকে ফিরেছে গোলরক্ষক রানার পায়ে লেগে, তার ক্রস থেকে বদলি সুমন আলির হেড ফিরেছে ক্রসবারে লেগে। ৭৫ আর ৮২ মিনিটের এই দুই সুযোগ হাত ছাড়া হওয়ার পরই মাথায় হাত পড়ে আরামবাগের কোচ মারুফুল হকের। ম্যাচ শেষে এ আপসোসই পুড়িয়েছে তাকে।

সৌভাগ্যে হার এড়ানোর কথাটি লুকোননি চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ সাইফুল বারী টিটু, ‘আমরা সৌভাগ্যক্রমে এক পয়েন্ট পেয়েছি। আমাদের আরেকটু খেটেখুটে চেষ্টা চেষ্টা করা উচিত ছিল।’ আর আরামবাগের কোচ মারুফুল হকের কথা, ‘আমার ব্যাডলাক। জিততে পারিনি। আসলে প্রতি ম্যাচেই আমার ব্যাডলাক যায়।’

গোল করার সহজ সুযোগ প্রথম পেয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ২৪ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনী জাহিদের শট ক্রসবারে লেগে ফিরেছে। মামুনুলের একটি শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। ৬ ম্যাচে প্রথম ড্রয়ের পরও ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১ পয়েন্ট পাওয়ায় টেবিলের দশম স্থানে উঠল মারুফুল হকের আরামবাগ।

Advertisement

খেলার শেষ বাঁশি বাজার পর আরামবাগের হাবিবুর রহমান সোহাগকে লালকার্ড দেন রেফারি জালাল উদ্দিন।

আরআই/এনইউ/আইআই