বিশেষ প্রতিবেদন

পশুর হাটে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ইতিমধ্যে রাজধানীতে কোরবানির পশু ঢুকতে শুরু করেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই কুরবানির পশুতে ভরে উঠবে রাজধানীর হাটগুলো। তাই হাটগুলোতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।

Advertisement

ঈদের তিন দিন আগে থেকে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত হাটে পশু বিক্রির কথা থাকলেও পশু আসছে সময়ের আগেই। এছাড়া ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে হাটগুলোর প্রচার-প্রচারণা চলছে পুরোদমে।

রাজধানীর কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, নানা রঙে সাজানো হয়েছে ব্যানার ও গেট। পশু বেঁধে রাখতে বাঁশের খুঁটি মাটিতে পোঁতার কাজ চলছে। পশু ব্যবসায়ীদের বিশ্রামের জন্য আলাদা জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে।

রাজধানীতে সবচেয়ে বড় এবং স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী ছাড়াও আসন্ন ঈদুল আজহায় এবার ২২টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) রয়েছে ৯টি এবং দক্ষিণে (ডিএসসিসি)১৩টি।

Advertisement

ডিএসসিসি হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে- মেরাদিয়া বাজার, উত্তর শাহজাহানপুর-খিলগাঁও রেলগেট বাজার সংলগ্ন মৈত্রী সংঘের মাঠ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ, কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের খালি জায়গা, জিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ সংলগ্ন জায়গা, আরমানিটোলা খেলার মাঠ ও আশপাশের খালি জায়গা, ধুপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠ এবং সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল ও সংলগ্ন খালি জায়গা।

ডিএনসিসি এলাকায় রয়েছে- কুড়িল, বসিলা, মিরপুর ডিওএইচএস, উত্তরার ১৫নং সেক্টর, খিলক্ষেত বনরূপা, আশিয়ান সিটি, ভাটারার সাঈদনগর, আফতাব নগর ও মিরপুরের ৬নং সেকশন।

এদিকে বাজেটে কোরবানির পশুর হাট থেকে দক্ষিণের রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি এক লাখ টাকা। উত্তরের ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা। কিন্তু বাজেটের প্রত্যাশিত রাজস্ব আয় পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এদিকে দুই সিটি কর্পোরেশনের ছয়টি পশুর হাটের ইজারার মধ্যে পাঁচটি হাটের কাঙ্ক্ষিত ইজারাদার মিলছে না। আর ১টি হাটে কোনো দরপত্রই জমা পড়েনি। তবে ডিএসসিসি এলাকায় আটটি পশুর হাটের ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে। আর ডিএনসিসির সাতটি।

Advertisement

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুই দফায় দরপত্র আহ্বান করেছি। প্রথম দফায় আটটা, দ্বিতীয় দফায় একটা চূড়ান্ত হয়েছে। বাকি চার হাটে কাঙ্খিত দরের অনেক কম পাওয়া গেছে।

একই বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সাতটি হাটের ইজারাদার চূড়ান্ত হয়েছে। বনরূপা ও আশিয়ান সিটির পশুর হাটের ইজারা চূড়ান্ত হয়নি। আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। এএস/এএইচ/আইআই