জাতীয়

লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে জাগো নিউজের ত্রাণ বিতরণ

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে জীবনযাপন করছেন অসংখ্য মানুষ। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ঘর-বাড়ি, ফসল, গবাদিপশু। এমন সঙ্কটে গতবারের মতো এবারও বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে জাগো নিউজ

Advertisement

বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন লালমনিরহাট এবং নীলফামারীর প্রায় দুই হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে জাগো নিউজ টিম।

প্রথমে লালমনিরহাটের প্রায় ১৪০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ পেয়ে লালমনিরহাটের সানিয়াজান ইউনিয়নের অধিবাসী হাদিল সরদার বলেন, ‘বানের (বন্যা) পানিতে ভাসি গেলেও কাহো খবর নিবার আসি নাই। আইজ খাবার পানু (পেয়েছি)। আইজ যায় (যে) খাবার দেইল তার ভালো হউক।’

এরপর নীলফামারীর ১১০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ পেয়ে নীলফামারীর টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বৃদ্ধা জয়তুন বলেন, ‘বানের (বন্যা) সময় কিছুই পাই নাই। না খায়া আছিলাম। আইজ ত্রাণ পাইছি।’

Advertisement

দেশের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সার্বিক সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুর থেকে শুরু হয় জাগো নিউজের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। আজ দেয়া হলো লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে। এরপর ত্রাণ দেয়া হবে গাইবান্ধা ও নাটোরে।

জাগো নিউজের সম্পাদক সুজন মাহমুদের নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ টিমে রয়েছেন- ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, প্রধান বার্তা সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, ফিচার সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরমান, সহকারী বার্তা সম্পাদক মাহাবুর আলম সোহাগ, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সায়েম সাবু, ওয়েব ইনচার্জ হাসিবুল হাসান আশিক, সহকারী ব্যবস্থাপক (বিপণন) ইফতেখার আহমেদ ও ফটো সাংবাদিক মাহবুব আলম।

এ ছাড়া আজ উপস্থিত ছিলেন জাগো নিউজের লালমানিরহাট জেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম ও নীলফামারী প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত বছরও (২০১৬) বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে জাগো নিউজ। দেশের ১১ জেলার (জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর) বন্যার্তদের কাছে ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়। শুধু বন্যার্তদের মাঝেই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় শীতার্তদের পাশেও দাঁড়িয়েছিল জাগো নিউজ।

Advertisement

এএসএস/এআরএস/এনএফ/এমএস