জাতীয়

ইলিশের জিআই সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর

ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) সনদ মৎস্য অধিদফতরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ইলিশের এই সনদ তুলে দেন মৎস্য অধিদফতরের কাছে। মৎস্য অধিদফতরের পক্ষে মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ এ সনদ গ্রহণ করেন।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ সনদ তুলে দেয়া হয়। জামদানির পর ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক ( জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন বলেন, মৎস্য অধিদফতর আমাদের কাছে রুপালি ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। ওই আবেদনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষে এ বছরের ১ জুন গেজেট প্রকাশ করা হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে দেশে বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে আপত্তি জানায়নি। সে অনুসারে এ পণ্য এখন বাংলাদেশের স্বত্ব।

ওয়ার্ল্ড ফিশের পর্যবেক্ষণ অনুযাযায়ী, বিশ্বের মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। ভারতে ১৫ শতাংশ, মিয়ানমারে ১০ শতাংশ, আরব সাগর তীরবর্তী দেশগুলো এবং প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী দেশগুলোতে বাকি ইলিশ ধরা পড়ে।

ইলিশ আছে, বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই ইলিশের উৎপাদন কমছে। একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।

এফএইচএস/এএইচ/আইআই

Advertisement