ধর্ম

হজ পালনকারীদের জন্য মিনা মুজদালিফা ও আরাফাহর সীমানা

মিনা মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মধ্যে নিহিত রয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। এ স্থানগুলো আল্লাহ তাআলার নির্দশন। তিনি এ নিদর্শনগুলোতে হজ পালনকারীদের উপস্থিত হওয়াকে হজের রোকন এবং ইবাদত হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।

Advertisement

এ সবেরই রয়েছে নির্ধারিত সীমানা। নির্দিষ্ট তারিখে নির্ধারিত সীমানায় উপস্থিত হওয়া সাপেক্ষে হজের রোকনগুলো আদায় হয়। এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয় হজ।

আর মিনা মুজদালিফা এবং আরাফাতের ময়দান পাশাপাশি হওয়া এগুলোর সীমানা জানাও আবশ্যক। আর সমগ্র বিশ্ব থেকে আগত হজ পালনকারীদের নির্ধারিত তারিখে এ স্থানগুলো উপস্থিত হতে হয়। এ স্থানগুলোর সীমানা হলো-

মিনার সীমারেখাতাবুর নগরী খ্যাত মিনায় কংকর নিক্ষেপ, কুরবানি এবং হলক তথা মাথামুণ্ডন করতে হয় প্রত্যেক হাজিকে। এ স্থানে ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সাওয়াবের কাজ।

Advertisement

তাছাড়া এ স্থানে ১০ জিলহজ সকালে বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। ১১ ও ১২ জিলহজ দ্বিপ্রহর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।আর যারা মিনায় ১২ তারিখ রাতযাপন করতে চায় তারাও ১৩ জিলহজ দ্বিপ্রহরের পর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ করবে।

মিনার সীমানা হলো পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে মুহাসসার উপত্যকা ও জামরা ‘আকাবা ও মধ্যবর্তী’ স্থান। আর উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে দু’পাশের সুউচ্চ দু’টি পাহাড়।

আরাফাতের ময়দানের সীমানাআল-হাজ্জু আরাফাহ অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হলো হজের মূল রোকন। জিল হজ মাসের ৯ তারিখ সকাল থেকে হাজিগণ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করে।

৯ জিলহজ দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হলো হজের রোকন।আরাফাতের ময়দানের সীমানা হলো- পূর্ব দিক থেকে সেই সব বেষ্টনকারী পাহাড় যেগুলো আরাফাতের মাঠ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ; পশ্চিম দিক থেকে ‘উরানা’ উপত্যকা; উত্তর দিক থেকে ‘ওসিক’ উপত্যকার যে অংশ উরানা উপত্যকার সাথে মিলিত হয়েছে এবং দক্ষিণ দিক থেকে মসজিদে নামিরা থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত।

Advertisement

মুজদালিফার সীমানা৯ জিলহজ সুর্যাস্তের পর মাগরিব না পড়ে আরাফাতের ময়দান থেকে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে হওয়া হতে হয়। মুজদালিফায় রাত যাপন করা সুন্নাত। আর ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত মুহূর্তে কিছু সময় মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব।

মুজদালিফায় অবস্থান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মুজদালিফায় অবস্থানকালীন রাতকে লাইলাতুল কদরের চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত বলা হয়।

আল্লাহ তাআলা মুজদালিফায় প্রিয়নবির কামনায় এ উম্মতের আত্যাচারীদেরকেও ক্ষমা করে দেয়ার দোয়া কবুল করেন।

মুজদালিফার সীমানা হলো- পূর্ব দিক থেকে দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী পশ্চিমমুখী সরুপথ; পশ্চিম দিক থেকে মুহাসসার উপত্যকা; উত্তর দিক থেকে সুবাইর পাহাড় এবং দক্ষিণ দিক থেকে মুরাইখাত পাহাড়সমূহ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব হজ পালনকারীকে মিনা আরাফা এবং মুযদালিফায় অবস্থান করে নির্ধারিত সীমানার মধ্যে অবস্থানপূর্বক হজের কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম