এক সপ্তাহের ভ্রমণের খরচ ৫ লাখ ৫৮ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। তুরস্কে ছুটি কাটাতে গিয়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন সৌদি আরবের এক রাজপুত্র।
Advertisement
সম্প্রতি তুরস্কের বোডরুম রিসোর্টে এক সপ্তাহের জন্য অবকাশে যান সৌদি প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল বিন আব্দুল আজিজ-আল-সৌদ। এজিয়ান সাগর লাগোয়া একটি রিসোর্টে ওঠেন তিনি।
রাজপুত্র বলে কথা। কোথাও গেলে একা যান না। সফরসঙ্গী হিসেবে সর্বদা থাকেন পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে লোক-লস্কর, নিরাপত্তারক্ষীরাও। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
গত ১৪ তারিখ তাকে বহনকারী ব্যক্তিগত জেট তুরস্কের বিমানবন্দরে অবতরণ করে, তখন প্রায় ৩০০টি স্যুটকেশ ছিল মালপত্রের মধ্যে! সেগুলোকে ট্রাকে করে হোটেলে পাঠাতে হয়।
Advertisement
৬২ বছরের রাজপুত্রের আবার সাইকেল চালানোর শখ! তার মর্জিতেই ৩০টি বাইসাইকেল বিমানে করে আনা হয়। সৈকত শহরে হামেশাই সাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়তেন তিনি। পেছনে থাকত তার দেহরক্ষী বহর।
এই সফরে শুধুমাত্র থাকার জন্যই ৩৬৭ হাজার পাউন্ড খরচ করেন তিনি। কারণ এত লোকের থাকার জন্য তিনি একটি বিচসাইড হোটেল, একটি ভিলা ও একাধিক লজ বুক করেছিলেন।
শুধু হোটেলে নয়, বেশ কয়েকদিন আবার মাঝসমুদ্রে বিলাসবহুল ইয়টে কাটান শৌখিন রাজপুত্র। ‘কিংডম ৫ কেআর’ নামে ২৮১ ফুটের ওই বিশালাকার ইয়টটি অতীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছিল। ১৯৯১ সালে তিনি সৌদি রাজ পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেন।
এছাড়া সমুদ্র লাগোয়া একটি উপদ্বীপের ওপর বিলাসবহুল নসর-এত-স্টিক হাউস রেস্তোরাঁয় ১৪ জন বিশিষ্ট অতিথির সঙ্গে নৈশভোজ সারেন। ভোজনে সন্তুষ্ট হয়ে সেখানে তিনি প্রায় সাড়ে চার হাজার পাউন্ড টিপস দেন!
Advertisement
ওই রেস্তোরাঁর মালিক নসরত গোকচ বেশ পরিচিত। অনেকেই তাকে ‘সল্ট বায়ে’ নামে চেনেন। কারণ, মাংসের ওপর এমনভাবে তিনি নুন ছড়ান, যে তার পদের স্বাদ না কি অতুলনীয় হয়ে ওঠে।
আরেকদিন একটি মাছের রেস্তোরাঁয় গিয়ে সেখানেও প্রায় ৯ হাজার পাউন্ড খরচ করেন সৌদি প্রিন্স। রাজপুত্র ও তার পরিবার পুরো সফরে বিলাসবহুল গাড়ির একটি আস্ত বহর সঙ্গে রেখেছিলেন। পাশাপাশি ছিল, প্রচুর বাস।
সৌদি এই প্রিন্স কিংডম হোল্ডিং কোম্পানির চেয়ারম্যান। এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করে। ফোর্বসের তালিকায় তিনি বিশ্বের ৪৫তম ধনী ব্যক্তি তিনি। টুইটার সহ বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ রয়েছে তার।
সূত্র : এবিপি আনন্দ।
এসআইএস/পিআর